পুনরায় দূতাবাস খুলেছে ব্রিটেন ও ইরান
প্রায় চার বছর বন্ধ রাখার পর আবারও দূতাবাস খুলেছে ব্রিটেন ও ইরান। রোববার ইরানের রাজধানী তেহরানে চালু করা হয়েছে ব্রিটিশ দূতাবাসের কার্যক্রম। একইসঙ্গে ব্রিটেনেও নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে ইরানের দূতাবাস। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড তেহরানে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় ইরানের বেশকিছু কূটনীতিকও সেখানে ছিলেন। তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার ব্যাপারে বিশ্বের প্রভাবশালী ছয় দেশের সঙ্গে ইরান একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কয়েক সপ্তাহের মাথায় এ উদ্যোগ নিল ব্রিটেন। ২০১১ সালে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে একদল বিক্ষোভকারী তেহরানের ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা চালালে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৩ সালে দূতাবাস খোলার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অনাবাসিক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নিয়োগে সম্মত হয় ইরান ও ব্রিটেন। ২০০৩ সালের পর থেকেই হ্যামন্ডই প্রথম ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি তেহরান সফর করলেন। তার সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দলও ছিল। দূতাবাস পুনরায় খুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ২০১১ সালে আক্রমণের পর দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। কিন্তু হাসান রুহানি ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেটার উন্নতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত মাসে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি ছিল আরেকটি মাইলফলক। পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ ও যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনৈতিক শক্তি দেখা গিয়েছিল। দূতাবাস পুনরায় চালু করা তারই একটি যৌক্তিক পরবর্তী পদক্ষেপ।