পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করলে ইরানে হামলা হবে : ওবামা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে সম্ভাব্য পূর্ণাঙ্গ সামরিক হামলার পরিকল্পনা শুরু করেছে আমেরিকা। ইরান যদি সাম্প্রতিক পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করে তাহলে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানো হবে বলে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুমকি দেয়ার পর এ পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।
আমেরিকার প্রভাবশালী দৈনিক ইউএসএ টুডে’র খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানে হামলার অগ্রভাবে থাকবে ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা যা ‘ম্যাসিভ অর্ডানেন্স পেনেট্রেইটর; হিসেবে পরিচিত। ওই দুই কর্মকর্তা সামরিক এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত।
এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার মূল লক্ষ্য বস্তু হবে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ও মাটির গভীরে তৈরি পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা। তিনি বলেন, সামরিক পরিকল্পনা এমনভাবে করা হবে যাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি দু’বছর পিছিয়ে দেয়া যায়।
দ্বিতীয় মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের ওপর যদি হামলা চালানো হয় তাহলে আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলোর কাছে সামরিক ঘাঁটি ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ চাওয়া হবে। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনা রক্ষার জন্য আমেরিকা দীর্ঘপাল্লার পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করবে।
দুই কর্মকর্তাই বলেছেন, মার্কিন হামলার জবাবে ইরানও প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর চেষ্টা করবে এবং পারস্য উপসাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে।
এ সম্পর্কে আমেরিকার ব্রুকলিন ইনস্টিটিউটের সামরিক বিশেষজ্ঞ মাইকেল ও’হ্যানলন বলেছেন, আমেরিকা যদি ১,০০০ বারও হামলা চালায় তারপরও ইরানের পরমাণু স্থাপনা স্থায়ীভাবে ধ্বংস করা সম্ভব হবে না।
গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইরান যদি ভিয়েনা সমঝোতা লঙ্ঘন করে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করা হবে। তার এ বক্তব্যের পর ইউএসএ টুডে সামরিক এ পরিকল্পনার খবর দিল।