আমেরিকায় আসমানী কিতাবের প্রাচীন পাণ্ডুলিপির প্রদর্শনী
পেন্সিলভেনিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। প্রথম যে তেরোটি অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়, পেন্সিলভেনিয়া তার অন্যতম। সেই পেন্সিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে চারটি আসমানী গ্রন্থের প্রাচীন পাণ্ডুলিপির সমন্বয়ে বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে হাতেলেখা একখণ্ড অনন্য কুরআন শরিফও প্রদর্শিত হচ্ছে।
‘বিশ্বের পবিত্র গ্রন্থের অসাধারণ পাণ্ডুলিপি’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত ওই প্রদর্শনীতে আসমানী পবিত্র গ্রন্থের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি প্রদর্শন হচ্ছে।
প্রদশর্নী প্রসঙ্গে পেন্সিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরের পরিচালক জুলিয়ান গায়ক বলেছেন, বর্তমানে এ প্রদর্শনীতে পবিত্র গ্রন্থের প্রাচীন ১০ খণ্ড পাণ্ডুলিপি প্রদর্শন করা হয়েছে। এগুলো অতি মূল্যবান এবং অনন্য।
এ প্রদর্শনীতে যেসব গ্রন্থ প্রদর্শন করা হয়েছে, সেগুলো কয়েক শতাব্দী অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো ভালো রয়েছে। এর মধ্যে সেন্ট ম্যাথু ইঞ্জিল যা আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম হস্তলিখিত ইঞ্জিল হিসেবে প্রসিদ্ধ, ১৫৯৯ সালে ১২ ভাষায় জার্মানে লিখিত নিউ টেস্টামেন্ট গ্রন্থ এবং ৩৫০০ বছর প্রাচীন মৃত্তিকা দ্বারা লিখিত হজরত নূহ (আ)-এর তুফানের কাহিনী লেখা রয়েছে।
এছাড়াও প্রদর্শনীতে ১১৬৪ সালে লিখিত পবিত্র কুরআনের অনন্য এবং অতি মূল্যবান প্রাচীন দুটি পৃষ্ঠা প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এ প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্মতত্ববিদদের উপস্থিতিতে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে ‘ফ্যামিলিজ ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে একটি বিশেষ সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রদর্শনী ৭ নবেম্বর পর্যন্ত চলবে, প্রদশর্নীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
উল্লেখ্য যে, আসমানী কিতাব বলতে এমন কতকগুলো গ্রন্থকে বোঝানো হয়, যেগুলোকে মুসলমানরা আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব বলে বিশ্বাস করেন। মুসলমানদের যে ৭টি বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে ঈমান আনতে হয়, তার মাঝে একটি হলো এসব আসমানী কিতাব, যা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলো। ইসলাম মতে, পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সর্বমোট আসমানী কিতাব পাঠানো হয়েছে ১০৪ খানা। তার মধ্যে ৪ খানা হলো প্রধান আসমানী কিতাব ও বাকি ১০০ খানা সহিফা। তবে কুরআন নাজিলের পর অন্যসব আসমানী কিতাবের বিধি-বিধান রহিত হয়ে গেছে। কুরআন সর্বশের্ষ আসমানী কিতাব, এরপর আর কোনো আসমানী কিতাব নাজিল হবে না, কোনো নবীরও আগমন ঘটবে না।