হজ্জের সময় রাজনীতি বরদাশ্ত করা হবে না : সৌদি আরব
সৌদি আরব পবিত্র হজ্বব্রত পালন উপলক্ষে আগত বিদেশীদেরকে মুসলমানদের বার্ষিক এই বৃহত্তম ধর্মীয় সম্মিলনে এসে কোনরূপ রাজনীতিতে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
হজ্জ মন্ত্রণালয়ের ইস্যুকৃত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা এবং পবিত্রতা বিঘ্নকারী কোন ধরনের কার্যকলাপকে কিছুতেই সহ্য করা হবে না।
বিবৃতিতে সৌদী হজ্জমন্ত্রী বন্দর হাজ্জার বলেন, সৌদি আরবস্থ বিশ্বের সব মুসলিম দেশের হজ্জ মিশনের সাথে তাদের স্ব স্ব দেশ থেকে আগত হাজী সাহেবানদের দ্বারা যাতে রাজতন্ত্রের হজ্জ সংক্রান্ত নির্ধারিত বিধি-বিধান পালনে কোন ব্যত্যয় না ঘটে তা নিশ্চিত হবার জন্য আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতক উদ্দেশ্যে পবিত্র হজ্জব্রত পালনে কেউ কোন বিঘ্ন সৃষ্টি করলে তা হবে এই চুক্তির লংঘন।
মিসর, তিউনিশিয়া ও ইয়েমেনসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘটিত রাজনৈতক বিশৃংখলার প্রেক্ষাপটে হজ্জমন্ত্রীর এই বিবৃতি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
অত্যন্ত শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালনীয় বিশ্ব মুসলিমের এ পবিত্র হজ্জ অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী কোন সভা সমাবেশ সৌদী সরকার কর্তৃক আইনত নিষিদ্ধ।
কর্তৃপক্ষ পবিত্র মক্কায় কা’বা শরীফের চলমান সম্প্রসারণ কাজ নির্বিঘœ করতে এ বছর শতকরা ২০ ভাগ বিদেশী এবং ৫০ ভাগ সৌদী নাগরিকের হজ্জপালন হ্রাস করেছে। চলতি সপ্তাহের শেষদিকে এ বছরের হাজীদের প্রথম কাফেলাটি মক্কায় এসে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হজ্ব মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাতিম আল ক্বাদি বলেন ২২ থেকে ২৭শে আগস্টের মধ্যে আগত হাজী সাহেবানদের প্রথম কাফেলাকে অভ্যর্থনা জানাতে আমাদের সকল আয়োজন সম্পন্ন। অধিকাংশ হজ্জযাত্রীই আসবেন বিমানযোগে, বাকীরা স্থলপথ ও সমুদ্রপথে।
উল্লেখ্য, একটি সফল উমরাহ মওসুম সম্পন্ন হবার পর এবারের বার্ষিক হজ্জব্রত পালিত হতে যাচ্ছে। চলতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষাধিক বিদেশী নাগরিক সফলভাবে উমরাহ পালন করেন।
আল ক্বাদি’র দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আল্লাহর মেহমান অর্থাৎ সদ্যবিগত মওসুমে উমরাহ পালন করতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার লোক এখনও পবিত্র মক্কা ও মদীনা শরীফে অবস্থান করছেন।
সৌদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালিদ আল মিরঘালানি সাংবাদিকদের বলেন, এবারের হজ্জ ও উমরাহ মওসুমে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হওয়া এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত লোকদেরকে উমরাহ কিংবা হজ্জভিসা দেয়া হবে না মর্মে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।