অভিবাসন বিলের বিস্তারিত রূপরেখা ঘোষণা
ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস ও আয়ের সব পথ বন্ধ করে দেশটির সরকার শিগগিরই একটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অভিবাসনবিষয়কমন্ত্রী জেমস ব্রোকেনশায়ার নতুন অভিবাসন বিলের বিস্তারিত রূপরেখা মঙ্গলবার ঘোষণা করেন। অভিবাসীদের ঠেকাতে আইনি যত আয়োজন সম্ভব তার সবটুকুই যেন করতে চাইছে যুক্তরাজ্য।
গত কয়েক মাসে যুক্তরাজ্য সরকার অবৈধ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে। বিস্তারিত রূপরেখায় মূলত ওইসব উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন কিছু বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। সংযুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলোর মধ্যে আছে, যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি নেই এমন কেউ চাকরি বা কাজ করলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া, অবৈধ অবস্থায় অর্জিত সমুদয় আয় জব্দ করা এবং তাদের আর্থিক জরিমানা করারও সুযোগ।
প্রস্তাবের মধ্যে আরও আছে, অবৈধ অভিবাসীদের যারা চাকরি দেবেন তাদের সাজার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা। সেই সঙ্গে আছে প্রত্যেক অবৈধ অভিবাসীকে কাজ দেয়ার দায়ে বিদ্যমান সর্বোচ্চ ২০ হাজার পাউন্ড জরিমানার বিধান। পানশালা, ছোটখাটো দোকানপাট কিংবা কৃষি খামার অবৈধ অভিবাসীকে চাকরি দিলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে হিসাব গ্রহীতার তথ্য অভিবাসন সংস্থার সঙ্গে যাচাই করে নিতে হবে, যাতে কোনো অবৈধ অভিবাসী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে না পারেন।
মন্ত্রী জেমস ব্রোকেনশায়ার বলেন, যুক্তরাজ্য যে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য কোনো উদার গন্তব্যস্থল নয়, নতুন আইনটি সে বার্তাই দিতে সক্ষম হবে।
ব্রিটেনে অভিবাসীর সংখ্যা ৮০ লাখ ছাড়িয়ে: ব্রিটেনে বসবাসকারী বিদেশী বংশোম্ভূত মানুষের সংখ্যা ৮০ লাখে পৌঁছে গেছে। বুধবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন অবজারভেটরি এ খবর জানিয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দেশটির জাতীয় জরিপ অফিস থেকে অভিবাসন গণনা-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করবে। এ প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ এক দিন আগেই প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০০৯ সালে ব্রিটেনে অবিবাসীর সংখ্যা ছিল ৭০ লাখ।
এছাড়া ২০০৪ সালে দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৮% ছিল অভিবাসী যা এখন ৩৫% এ দাঁড়িয়েছে। এসব বিদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ভারতের। প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে।