এক লেখকের মানবিক আবেদনে বদলে গেল আইসল্যান্ড
সিরিয়ার শরণার্থীদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আইসল্যান্ডের হাজার হাজার অধিবাসী। একজন খ্যাতিমান লেখক ফেসবুকে এ ধরনের একটি প্রচারণা শুরুর পর তাতে বিপুল সাড়া মেলে। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনি ফেসবুক প্রচারণা শুরু করেন। গত মাসে সরকার বলেছিল মাত্র ৫০ জন সিরীয় শরণার্থীকে আইসল্যান্ডে আশ্রয় দেয়া হবে।
সরকারি এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লেখক ব্রিন্ডিস জরগবিনসডোটির আইসল্যান্ডবাসীকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানান।
তার আহ্বানে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১০,০০০ আইসল্যান্ডবাসী (দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ) তাদের বাড়িতে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দেয় এবং সরকারকে আরো বেশি কিছু করার আহ্বান জানায়।
সিরিয়ায় গত সাড়ে তিন বছর ধরে গৃহযুদ্ধে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। তাদের অনেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে মানবতের জীবন কাটাচ্ছেন।
‘আমি একজন সিঙ্গল মা। আমার ৬ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে…আমরা একটি অভাবী শিশুকে নিতে পারি। আমি একজন শিক্ষক এবং শিশুটিকে আইসল্যান্ডের কথা বলা, লেখা এবং পড়া শিক্ষা দেব যাতে সে আইসল্যান্ডের সমাজে খাপ খাওয়াতে পারে। আমাদের কাপড়-চোপড়, বিছানা, খেলনাসহ একটি শিশুর যা দরকার তার সবকিছুই আছে। বিমানের ভাড়াও আমিই শোধ করব,’ লিখেছেন হেকলা স্টিফ্যান্সডোটির।
লেখক ব্রিন্ডিস জরগবিনসডোটির আইসল্যান্ডের সরকারি টেলিভিশনকে বলেছেন, ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীরা যেভাবে ডুবে মরছে সে খবর দেখে লোকজনের কিছু করার তাগিদ জেগেছে।
আইসল্যান্ড সরকার এখন শরণার্থী কোটা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে।
ওয়েলফেয়ার মন্ত্রী ইগলো হার্ডারডোটির বলেছেন, ফেসবুকের আবেদনের পর কর্তৃপক্ষ এখন মানবিক বিবেচনায় শরণার্থী কোটা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখনই সর্বোচ্চ সংখ্যাটা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু আরো বেশি শরণার্থীকে স্বাগত জানানোর জন্য সব পথ পরীক্ষা করে দেখব আমরা।’