ব্রিটেনে শুক্রাণু দান করতে পুরুষদের অনীহা

পুরুষের শুক্রাণু সংগ্রহে রাখার জন্যে এক বছর আগে ব্রিটেনে যে জাতীয় ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো তার জন্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯ জন দাতা হিসেবে নাম লিখিয়েছেন।
সংস্থাটির প্রধান লরা উইটজেন্স বলছেন, শুক্রাণু দানের ব্যাপারে পুরুষদের শৌর্য-বীর্যের কথা তুলে ধরে তাদেরকে আরো উৎসাহিত করতে তারা একটি বিশেষ কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন।
ডেনমার্কে এরকম একটি সফল প্রচারণা-কার্টুন সুপারহিরোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যেও পুরুষদের এভাবে উৎসাহিত করা সম্ভব।
ধারণা করা হচ্ছে, এ সংক্রান্ত একটি আইনে পরিবর্তনের কারণে পুরুষরা এগিয়ে আসছে না।
আগে শুক্রাণু-দাতাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হলেও ২০০৫ সালে এই আইনে পরিবর্তন আনা হয় যেখানে দাতার পরিচয় কোশের কথা বলা হয়েছে।
এই শুক্রাণু থেকে যাদের জন্ম হবে সেইসব শিশুর অধিকার থাকবে তাদের ‘পিতার’ নাম জানার। যদিও শুক্রাণু-দাতা ওই শিশুর আইনগত কোনো অভিভাবক হবেন না।
শুক্রাণু ব্যাংকের প্রধান বলেন, বিজ্ঞাপনে যদি বলা হয়: ‘হে পুরুষ আপনি আপনার শৌর্য-বীর্য তুলে ধরেন, দেখান আপনি কতোটা ভালো’ তাহলে হয়তো পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন।
ব্রিটেনে শুক্রাণু-দাতার সমস্যা মোকাবিলায় এই বার্মিংহামে এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো।
দাতার সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক সময় বিদেশি দাতা কিম্বা অনিবন্ধিত দাতাদের কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করতে হয়েছে।
এই ব্যাংকটি আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে শুক্রাণু সরবরাহ শুরু করবে। আগ্রহী দাতাদেরকে বেশকিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
তারপর সেই শুক্রাণু পরীক্ষা করে ফ্রোজেন অবস্থায় জমা রাখা হয়। প্রত্যেক দানের জন্যে ওই পুরুষকে দেয়া হয় ৩৫ পাউন্ড।
এই অর্থ বাড়ানোর কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকের প্রধান বলছেন, যদি কেউ মনে করেন যে শুক্রাণু দান করে মাসে ২০০ পাউন্ড আয় করা যায় তাহলে হয়তো অনেকেই তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা গোপন করতে শুরু করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button