বিয়ানীবাজারে এক বছরে প্রবাসীরা সাড়ে ৬’শ কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন

মোঃ আব্দুর রহীম, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে : প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার উপজেলায় ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে প্রবাসীরা সাড়ে ৬’শ কোটি টাকারও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এসব রেমিটেন্স পাঠানোর দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন ইংল্যান্ড ও সৌদি আরব প্রবাসীরা। এই উপজেলায় ২৮ ব্যাংকের শাখা রয়েছে।  ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর থেকে এবার রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই অর্থবছরে প্রবাসীরা ৫শ’ ৯৮ কোটি টাকার রেমিটেন্স দেশে প্রেরণ করেন। অবৈধ ভাবে দেশের অভ্যন্তরে টাকা আসা বন্ধ হলে রেমিটেন্সের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন উপজেলায় কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এসব অবৈধ পন্থায় দেশে টাকা আসায় সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি গ্রাহকরাও হচ্ছেন প্রতারিত। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে রেমিটেন্স সেবা গ্রহণ করেছেন উপজেলার ২ লাখ ৫০ হাজারের অধিক অধিবাসী।
এ অর্থ বছরে ইসলামী ব্যাংক বিয়ানীবাজার শাখা সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রদান করেছে। এরপরই রয়েছে উত্তরা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া। এর চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার রেমিটেন্স বিয়ানীবাজারে পাঠিয়েছেন। গত অর্থ বছরে ইসলামী ব্যাংকে ১শ’ ৬০ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংকে ৮৮ কোটি টাকা, ব্র্যাংক ব্যাংকে ৭৩ কোটি টাকা এবং ব্যাংক এশিয়া ৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার রেেিমটেন্স এসেছে। এছাড়া সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ৩০ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ১৬ কোটি টাকা, পূবালী ব্যাংকে ১৬ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংকে ১৪ কোটি টাকা এবং অগ্রণী ব্যাংকে ১১ কোটি টাকার রেমিটেন্স এসেছে।  অবশিষ্ট ব্যাংকগুলোতে ৩ কোটি থেকে শুরু করে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত রেমিটেন্স আসে। এসব ব্যাংকে এক বছরের রেমিটেন্স আসে ২ শ’ ৯৫ কোটি টাকা। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইংল্যান্ড ও সৌদি আরব প্রবাসী ছাড়া উলে¬খযোগ্য পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।
সোনালী ব্যাংক স্থানীয় শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আনিসুজ্জামান বলেন, এখানকার ব্যাংক লেনদেন আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ভর করে রেমিটেন্সের উপর। রেমিটেন্স’র পরিমাণ কমে গেলে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে উপজেলা সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা দিবে। স্থানীয় প্রবাসীরা আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন বলেই বিয়ানীবাজার দেশের অন্য এলাকার চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। এখানকার প্রবাসীরাই উপজেলার উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক শক্তি বলে মনে করেন প্রাইম ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক এটি এম খায়রুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button