ব্রিটিশ রানীর ভালোমন্দ
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনকালের দৃশ্যপট ফুটে উঠছে নাগরিকদের নানা স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে। দেশটির সিংহাসনে আরোহণকারীদের মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ সময় শাসনকারীর মর্যাদা পেতে যাচ্ছেন তিনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বেশ সাড়া জাগিয়েছে ব্রিটেনজুড়ে। মুখে মুখে অনুরণিত হচ্ছে রানীর ভালোমন্দ দিকগুলো। বৃহস্পতিবার রানীর নন্দিত ও নিন্দিত বিষয়ে দেশটির তিনজন সাধারণ নাগরিকের বক্তব্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে এএফপি।
ধৈর্যশীল রানী
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল, ১৯২৬ সালে। ওই একই দিনে জন্ম কেলের। বলা যায় শৈশব থেকে শুরু করে রানীর সব ক্রিয়াকলাপের সাক্ষী তিনি। রানী বড়ই ধৈর্যশীল। অঢেল সম্পদ ও জাঁকজমকপূর্ণ প্রাসাদে থেকেও অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি। ভয়াবহ যুদ্ধের মাঝেও অবিচল থেকে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি মনে করি তিনি খুব প্রশংসার দাবিদার।
জোয়ান কেল (৮৯) পেশা : শিক্ষা পরিদর্শক। থাকেন মধ্য ব্রিটেনের ডেব্রিতে
কখনও অসুস্থ হননি
রানীর রাজ্যাভিষেকের দিন (২ জুন ১৯৫৩ সালে) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি বলেন, রানীর সবচেয়ে প্রশংসনীয় দিক তিনি কখনও অসুস্থ হননি। এখনও নিজেই ড্রাইভ করেন। বয়স হলেও হাঁটতে সহায়ক লাঠি নেননি হাতে। এ দেশের রাজনীতিকরা হলেন কর্মচারী আর রানী হলেন তাদের প্রধান। তার পিতার মৃত্যুর পর থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
লেয়ানি লাভ (৬২), পেশা : বিস্কুট দোকানের কর্মী। থাকেন লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর স্টোক ম্যান ডেভালিতে
বিলাসী রানী
রাজপরিবারের ঐশ্বর্য ও বিলাসিতার ঘোরবিরোধী বেঞ্জামিন। তিনি বলেন, রানী কে? কী তার কাজ? এ ব্যাপারটি তিনি (রানী) কখনও খোলাসা করেননি। ফলে অনেকেই জানে না রানী শব্দের মানে কী? এছাড়া বেঞ্জামিন মনে করেন এ রাজপরিবার টিকে আছে শুধু এই কারণে যে, কিছু মানুষ জন্মায় ভালো সুবিধা ও অন্যের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে।
বাকিংহাম প্যালেসের সমালোচনা করে বলেন, এখানে রানীর জন্য আয়েশী আবাসের দরকার আছে বুঝলাম। কিন্তু অতিরিক্ত পড়ে থাকা কক্ষগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উপহাস ছাড়া কিছুই নয়।
রিচার্ড বেঞ্জামিন (৩৭)। পেশা : চাকরি পরামর্শক। থাকেন গ্লাসগোর লেনজিতে