ইসলাম প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ১০০ বিলবোর্ড
ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর ‘সত্যিকার বাণী’ প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ডজন ডজন বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
এই বিলবোর্ডের বাণীগুলোর মূলকথা হলো- চরমপন্থা কিংবা সহিংস জিহাদ নয়, ইসলামের সত্যিকার বার্তা হচ্ছে শান্তি ও ন্যায়বিচার।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা (আইসিএনএ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে এই গ্রীষ্মে ১০০ বিলবোর্ড লাগিয়েছে।
বস্টন, নিউইয়র্ক, ফিনিক্স, সান দিয়েগো, এল পাসো অ্যান্ড অস্টিন, টেক্সাস, মেম্ফিস, টেনেসি, ক্লিভল্যান্ড, লাস ভেগাস, নিস জার্সি, নর্থ বার্জেন, পোর্টল্যান্ড, অরেগন, পেনসিলভানিয়া, ডেনভার, ক্যালগারি, ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভৃতি শহরে এসব বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
এসব বিলবোর্ডে যেসব বাণী স্থান পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে: ‘মুহাম্মদ (সা.) শান্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর অধিকারে বিশ্বাস করতেন’। ‘মুহাম্মদ সা. সবসময় ভালোবাসা শিক্ষা দিয়েছেন, ঘৃণা নয়; সহিসংতা নয়, শান্তি’। বিলবোর্ডে ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের ফোন নাম্বার এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানাও দেয়া হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি নাঈম বেগ বলেন, জানুয়ারিতে প্যারিসের শার্লি এবদোতে ইসলামি জঙ্গিদের হামলাসহ কয়েকটি হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার পর এই আইডিয়াটি মাথায় এসেছে।
তিনি বলেন, দৃষ্কৃতিকারীরা মহানবীর শিক্ষাকে ভুলভাবে বুঝেছে এবং আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায় ইসলামের শিক্ষার পুনর্জাগরণ চায়। ‘যখন কোনো লোক মহানবীর শিক্ষার অপব্যবহার করে এবং আমার ধর্মবিশ্বাসকে অপব্যবহার করে তখন একজন মুসলিম হিসেবে আমি আহত হই,’ বলছিলেন নাঈম বেগ।
সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী বস্টন নিবাসী কলেজ ছাত্র বিলাল সিদ্দিকী বলেন, প্রথমে ফোন করে অনেক লোক ঘৃণা ছড়ালেও অভিজ্ঞ লোকদের সাথে কথা বলার পর তাদের সুর নরম হয়েছে এবং তারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে আরো বেশি আগ্রহী হয়েছেন।
বস্টনে লাগানো একটি বিলবোর্ডের পাশেই একটি অটো পার্টসের দোকানে কাজ করা অমুসলিম শ্রমিক উইলহার্ম এডওয়ার্ড বলছিলেন, এই প্রচারণার আইডিয়াটি একটি মহৎ কাজ। তিনি বলেন, আমার কাছে মুসলিমসহ সবাই আসে। ‘আমি দেখেছি তারা সবাই ভালো মানুষ,’ বলছিলেন উইলহার্ম।