দাড়ির জনপ্রিয়তা দেখে গবেষণায় নামছেন ব্রিটিশ অধ্যাপক
বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে দাড়ির জনপ্রিয়তা নাকি এতোটাই বেড়ে গেছে যে ব্রিটেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলছেন, তিনি আগামী ৩ বছর ধরে এই দাড়ির ইতিহাস নিয়ে একটি গবেষণা চালাবেন।
এঙেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ্যালান ওয়াইদির এই গবেষণার বিষয়বন্তু হবে ‘দাড়ির সঙ্গে পুরুষত্ব এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক এবং দাড়ি কামানোর প্রযুক্তির বিবর্তন’’।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় চালানো এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ‘দাড়িওয়ালা মুখ’ বা ‘পরিষ্কার-কামানো মুখ’- যেটা যখন যতো দুর্লভ হয়- ততোই তার জনপ্রিয়তা বেশি হয়।
জরিপ পরিচালনাকারী সিডনির বিজ্ঞানীরা বলেন, যখন পুরুষদের মধ্যে দাড়ি রাখার প্রচলন শীর্ষে উঠে যায়, ঠিক তখনই এর জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। কারণ মেয়েদের চোখে তখন দাড়ি- না রাখা লোকদেরকেই বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে।
জরিপে বলা হয়, সে হিসেবে ২০১৪ সালের মধ্যেই দাড়ির জনপ্রিয়তার শীর্ষবিন্দু পার হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও দাড়ির জনপ্রিয়তা এখনো অব্যাহতই আছে। সে জন্যই প্রফেসর ওয়াইদি এই গবেষণায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
ড. ওয়াইদি বলেন, বহু শতাব্দী ধরেই অনেকের ধারণা ছিল দাড়িওয়ালা লোকেরা নোংরা বা এটা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এতে বোঝা যায়, দাড়ি নিয়ে সবসময়ই মানুষের আগ্রহ ছিল এবং দাড়ির স্টাইল দিয়ে অনেক সময়ই একেকটা যুগকে চিহ্নিত করা সম্ভব।
বলা হচ্ছে, ১৭০০ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত দাড়ি রাখার অভ্যাস কিভাবে বিবর্তিত হয়েছে- এই গবেষণায় সেটাই দেখা হবে। এই সময়কালের দাড়ি নিয়ে গবেষণা এটিই প্রথম। ওয়েলকাম ট্রাস্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই জরিপের অর্থায়ন করছে।