আরও ১ লাখ অভিবাসী নেবে ইউরোপ
ইউরোপীয় পরিকল্পনা মোতাবেক পশ্চিম ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানী আরও অতিরিক্ত ৩১ হাজার অভিবাসী গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ ঘোষণা করেছেন, পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে ২৪ হাজার অভিবাসী নিতে তার সরকারও একমত আছে।
তবে জার্মানী ও ফ্রান্সের অভিবাসী প্রীতি মানতে পারছেন না হাঙ্গেরি সরকার। বৈদেশিক রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সোমবারের এক বৈঠকে হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেন, ইউরোপের বহি:স্থ সীমানা যখন সুরক্ষিত নয়, তখন অভিবাসী গ্রহণের পরিকল্পনা বিষয়ে কোন আলোচনার প্রশ্নই উঠে না।
তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা ইউরোপের বাইরের সীমানা সুরক্ষিত করতে না পারি ততক্ষণ পর্যন্ত কতজন অভিবাসী আমরা গ্রহণ করবো সেটা না বলাই উচিৎ হবে। অভিবাসী বিরোধী ভিক্টর ওরবান বলেন, ইউরোপে এখন অভিবাসীর ঢল বইছে। ১ লাখ অভিবাসীকে ইউরোপে ভাগ করে দিলে কি সামধান হবে বলে প্রশ্ন রাখেন হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপীয় জোটভূক্ত দেশেগুলোতে ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী ভাগ করে নেয়ার প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। সোমবার ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট অভিবাসী সংখ্যাগত আকার ঘোষণা করে বলেন, পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে ফ্রান্স ২৪ হাজার অভিবাসী নিতে রাজী আছে।
এদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ জাঙ্কার আগামী বুধবার অভিবাসী গ্রহণের বিষয়ে নতুন প্রস্তাবনা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ওইদিন প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ ইউরোপে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসীর পুনর্বাসন বিষয়ে তার প্রস্তাবনা পেশ করবেন।
এর আগের প্রস্তাবনায় অবশ্য ইউরোপীয় কমিশন মাত্র ৪০ হাজার অভিবাসীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটভূক্ত দেশগুলোকে প্রস্তাব দেয়।
অপরদিকে,অভিবাসী গ্রহণে নারাজ হাঙ্গেরি সরকার অভিবাসীদের তুরস্কে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যেহেতু অভিবাসীরা অর্থ উপার্জনের জন্য ইউরোপে প্রবেশ করছে তাই তুরস্ককে অর্থিক সহায়তা দিয়ে অভিবাসীদের সেখানে স্থানান্তর করা হোক।