জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানোর প্রস্তাবে অভূতপূর্ব সমর্থন
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর পক্ষে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়েছে সংস্থাটির বেশিরভাগ সদস্য। এর ফলে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদার পথে আরেক ধাপ এগুলো ফিলিস্তিন।
নতুন প্রস্তাবনাটি পাস হওয়ায় সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে অ-সদস্য পর্যবেক্ষক মর্যাদার ফিলিস্তিন ও ভ্যাটিকানের পতাকা সদর দপ্তরে ওড়ানো হবে। তবে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস জাতিসংঘ সদর দপ্তর সফরের আগে তারা পতাকা ওড়াবে না।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১১৯টি সদস্য রাষ্ট্র। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮টি। অপরদিকে ভোট দানে বিরত থাকে ৪৫টি দেশ।
ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পোল্যান্ড, সুইডেনের মতো দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিলেও ব্রিটেন, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সাইপ্রাস ভোটদানে বিরত ছিল।
ফিলিস্তিনের এ উদ্যোগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যথারীতি ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ছোট চারটি দ্বীপরাষ্ট্র।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর পতাকা ওড়ানোর বিষয়টিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পথে এক ধাপ অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেছেন। এটা ফিলিস্তিনীদের মনে নতুন আশার সৃষ্টি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ইসরাইল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
আগামী ২০ দিনের মধ্যেই জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানো যাবে। ফিলিস্তিনি কূটনীতিকরা বলছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর তারা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন করবেন বলে তারা আশা করছেন।