লেবাননের শরণার্থী ক্যাম্পে ডেভিড ক্যামেরন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন লেবাননে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে সফর করেছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট স্মরণকালের শরণার্থীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ব্রিটেন।
ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম লেবানন সফরে বেকা উপত্যকায় অবস্থিত শরণার্থী ক্যাম্পের একটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এই পরিবার ব্রিটেনে আশ্রয় পাচ্ছে। শরণার্থী ক্যাম্পে ক্যামেরন বলেন, আমি নিজের চোখে এই সংকট দেখতে চেয়েছি এবং শরণার্থীদের মুখ থেকে তাদের গল্প শুনতে পেয়েছি। ক্যামেরন এই মাসের শুরুতে জানিয়ে ছিলেন যে আগামী পাঁচ বছরে ২০ হাজার সিরীয় শরণার্থী নেবে তার দেশ। তিনি রিচার্ড হ্যারিংটনকে সিরীয় শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন, যাতে শরণার্থীদের সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়।
ঝুকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিতে অনুৎসাহিত করে ক্যামেরন বলেন, লেবাননে ও জর্ডানে কিভাবে আমরা সিরীয় শরণার্থীদের সহায়তা করতে পারবো সেদিকে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ঝুকিপূর্ণ পথ পাড়ি না দিয়ে কিভাবে এই ক্যাম্পগুলো থেকে আমাদের দেশ যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া যায় সেই দিকে আমাদের চোখ রাখতে হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, সেখানে তাদের জন্য ঘর আছে, বাচ্চাদের জন্য স্কুল আছে-ব্রিটেনে তাদের জন্য একটি উষ্ণ অভ্যর্থনা অপেক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, লেবাননে বর্তমানে ১১ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে যা তাদের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ। সিরীয়দের সাহায্যার্থে ইউকে এইড এর ঘোষিত ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ২৯ মিলিয়ন পাবে লেবানন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর লেবানন সফরটা এমন সময়ে আসলো যখন ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। আলোচনায় নির্ধারিত হবে ইইউ এর ২৩ টি দেশ, প্রস্তাবিত ১ লক্ষ ৬০ হাজার শরণার্থীদের কে কতজন করে নেবেন।