মৌলভীবাজারে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দাফন সম্পন্ন
রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এমপির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে তার লাশ হেলিকাপ্টারে মৌলভীবাজারে পৌঁছে। লাশের সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং পরিবারের লোকজন।
বুধবার বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তার শেষ জানাজার নামাজ। নামাজ শুরুর আগে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। মন্ত্রীর জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, হুইপ আলহাজ শাহবউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ এমপি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন। এ ছাড়াও বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নামাজ শেষে তাকে সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা মাজারে মন্ত্রীর মা-বাবার কবরের পাশেই তাকে কবর দেওয়া হয়।
জানাজার নামাজের আগে তার ভক্তরা শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
উল্লেখ্য, নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মন্ত্রীকে। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫ সেপ্টেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যান তিনি।
মৌলভীবাজার শহরের দর্জিরমহল এলাকায় সৈয়দ আশরাফ আলী ও আছকিরুন্নেছা খানমের ঘরে ১৯৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মহসীন আলী। সৈয়দ মহসিন আলী মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৫ ভাই, ১ বোন এবং ৩ মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সৈয়দ মহসিন আলী ১৯৮৪ ইং থেকে ১৯৯৯ইং সাল পর্যন্ত মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে ২০০৮ সালে মৌলভীবাজার-রাজনগর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর ৫ জানুয়ারি ২০১৪ইং পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মন্ত্রিসভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান সৈয়দ মহসীন আলী।