ব্রাদারহুডের ৩ শীর্ষ নেতার বিচার শুরু
মিসরের সাম্প্রতিক সঙ্ঘাত-সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুসলিম ব্রাদারহুডের তিন শীর্ষ নেতার বিচার শুরু করেছে সেনাবাহিনীর নিয়োগ করা প্রেসিডেন্ট আদলী মনসুরের অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল তাদেরকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল কিন্তু নিরাপত্তার কারণে হাজির করা হয়নি। এজন্য শুনানিও হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে। মিসরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মুহাম্মদ বদিই এবং তার দুই উপপ্রধান খয়রাত আল শাতের ও রামাদ বাইউমির বিচার করা হবে। মিসর সরকার গত সপ্তাহে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান ৭০ বছর বয়সী দইকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া তারও আগে শাতের ও বাইউমিকে আটক করা হয়। ২০১১ সালে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতনের পর অনুষ্ঠিত টানা পাঁচটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় মুসলিম ব্রাদারহুড। গত ৩ জুলাই সামরিক অভ্যুত্থানে মুরসি মতাচ্যুত হন। তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের পর থেকে মুরসির সমর্থকদের ওপর সেনাবাহিনী ভয়াবহ দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এক হাজারেরও বেশি ব্রাদারহুড নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এরপরও ব্রাদারহুড আন্দোলনের পথে অনড় রয়েছে। তাদের নেতৃত্বাধীন সামরিক ব্র্যুত্থান বিরোধী জোট শনিবার ঘোষণা করেছে, ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-পীড়ন সত্ত্বেও তাদের আন্দোলন বন্ধ হবে না। তারা মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছেন।