মুসলিম নামের কারণে আর যেন কেউ হেনস্তা না হয় (ভিডিও)
একটা দিনের ঘটনা আমূল বদলে দিয়েছে টেক্সাসের ১৪ বছরের কিশোর আহমেদ মোহাম্মেদের জীবন। থানার গারদে ঢোকার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আমন্ত্রণ। তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন ফেসবুকের মার্ক জুকেরবার্গ। তার ঘটনা নিয়ে তুমুল হই-চই হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্রেফ মুসলিম নামের কারণে তাকে আটক করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন ডিজিটাল ঘড়ি বানিয়ে স্কুলের শিক্ষককে তা দেখাতে এসে গ্রেফতার হতে হয়েছিল আহমেদকে।
বৃহস্পতিবার আহমেদ যখন মুখোমুখি হয় সাংবাদিকদের, তখন তার চোখ-মুছে যেন কিছুটা ছিল তার ছাপ। মুসলিম নামের কারণে যেন আর ভুল বোঝা না হয়, কাউকে যেন হেনস্তা হতে না হয়, তিনি সেই আবেদন জানান।
তাকে ভুল বোঝার খেসারতই গত ২৪ ঘন্টায় দিতে হয়েছে আহমেদকে। তাই এ দিন সাংবাদিকদের কাছে তার প্রথম প্রতিক্রিয়াটাই ছিল, ‘‘আমরা যেন ভুল বোঝার বদভ্যাসটা ছাড়তে পারি! আমার বানানো ডিজিটাল ঘড়িটা স্কুলের ম্যাডামকে দেখাতে গিয়েছিলাম। উনি ওটাকে দেখে ভয় পেয়ে গেলেন। হয়তো ওটাকে বোমা ভেবেছিলেন!’’
তার পর টেক্সাসের ১৪ বছরের কিশোরটির জীবনে যে ঝড় বয়ে গেল, সেটা তার লাগল কেমন?
আহমেদের চটজলদি জবাব, ‘‘আমার খুবই খারাপ লেগেছে। শিক্ষক কেন যে আমাকে ভুল বুঝলেন, কে জানে! এর পর এই স্কুলে আমার আর থাকার ইচ্ছা নেই।’’
নতুন ধরনের যন্ত্র বানাতে তার যে ভালো লাগে, সে কথা স্পষ্টই বলেছে আহমেদ। বলেছে, ‘‘এমন আরো অনেক নতুন যন্ত্র বানাতে চাই আমি। চাই, আমার মতো আরো অনেক কিশোরের প্রতিভার স্ফূরণ হোক। পড়তে যেতে চাই এমআইটি-তে (ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি)। নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে গিয়ে যদি আমারই মতো কেউ বিপদে পড়ে, তা হলে আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’’
এ দিকে, মার্ক জুকেরবার্গও এ দিন পাশে দাঁড়িয়েছেন আহমেদের। বলেছেন, ‘‘আহমেদের মতো প্রতিভারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আহমেদ, তুমি আবার যদি ফেসবুকে আসো, তোমার সঙ্গে কথা বলার খুব ইচ্ছা রইল। উদ্ভাবনের ইচ্ছাটা জারি রাখো। চালিয়ে যাও!’’
পর্যাপ্ত প্রত্যয়ে আহমেদ নিজেও জানিয়েছে, সে চালিয়ে যাবে !