ওলামায়ে কেরামকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে : মুফতী ওয়াককাস
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মুফতী ওয়াককাস বলেছেন, জালেম শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ঈমানী দায়িত্ব। বিশেষত নবীর উত্তরসূরী হিসেবে ওলামায়ে কেরামকেই এক্ষেত্রে সাহসী, সোচ্চার এবং আপোসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আমজাদ নগর খানকায়ে মাদানিয়ায় কুমিল্লা জেলা ও মহানগর জমিয়ত আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এতে কুমিল্লা মহানগর সভাপতি মুফতী শাহজালাল ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব আহমদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম, ফেনী জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়ত সেক্রেটারি হাফেজ ওমর ফারুক, মুফতী সুলতান আহমদ, মুফতী মোশাররফ আরশাদী, মাওলানা মারুফুর রহমান মাদানী প্রমুখ।
মুফতি ওয়াক্কাস আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী লীগের ইসলাম-মুসলমান, ঈমানী-আকীদা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনাশী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এ সময়ের আলেমদেরকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সামিয়া ফারহানা বোরকা পরিধানের কারণে ছাত্রীদেরকে শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে নাস্তিক এবং চরিত্রহীন প্রজন্ম তৈরির কারখানায় পরিণত করতে চান। সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে সারাদেশ থেকেই যেন ইসলামের নামনিশানা মুছে ফেলার প্রকাশ্য অপতৎপরতা চলছে। শতকরা নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে এমনটি চলতে পারে না। তিনি অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষিকার অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। -বিজ্ঞপ্তি