শরণার্থী সঙ্কটের দায় ইউরোপের : বাশার

Asadবৈদেশিক চাপের মুখে ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে আবারও সাফ জানিয়ে দিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। সম্প্রতি রুশ সংবাদ মাধ্যম রাশিয়ান টাইমসকে (আরটি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি মন্তব্য করেন, জনগণ চাইলেই শুধু ক্ষমতা ছাড়বেন তিনি, অন্য কারও কথায় নয়। তবে এ যুক্তি মানছেন না পশ্চিমা বিশ্ব এবং সিরিয়ার বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। তারা বলেছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়ার নেতৃত্বে আসাদের থাকার বিষয়টি আকাশকুসুম কল্পনার শামিল। আসাদ দাবি করেছেন, ইরান তার সরকারকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সমর্থন দিয়েছে। তবে ইরানের সেনাবাহিনীর সিরিয়াতে অবস্থানের বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন তিনি।
গণমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, শরণার্থীদের জন্য ইউরোপ মায়াকান্না করছে। অথচ এ সঙ্কটের উৎস তারাই। তারা সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে গেছে। সিরিয়া সঙ্কটের মূলে ইউরোপের দায় রয়েছে।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের বিরুদ্ধে জোট বাহিনীর হামলায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কোনো স্থান নেই। দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অবশ্যই তাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। বাশারের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়াকে গত মঙ্গলবার এ সতর্ক বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনাকালে সিরিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এ দৃঢ় অবস্থান আবারও তুলে ধরেন। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসাদ সরকারের প্রতি সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। গত বুধবার বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সঙ্কট থামাতে সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আসাদ বলেন, জনগণের শরণার্থী হয়ে সিরিয়া ছাড়ার কারণ সন্ত্রাসবাদ। যখন সন্ত্রাসবাদ চালু থাকে, তখন অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়। তাহলে মানুষ বাস করবে কোথায়? এখন ইউরোপ শরণার্থীদের জন্য মায়াকান্না দেখাচ্ছে। অথচ তারা সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে বলেছে, এটা শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ! সেখান থেকেই সঙ্কট শুরু। তিনি বলেন, সঙ্কট কাটাতে হলে সন্ত্রাসীদের সমর্থন বন্ধ করতে হবে। এটাই শরণার্থী সংকটের মূল কারণ।
সাক্ষাৎকারে আসাদ আরও বলেন, ইরানের জন্য এটা স্বাভাবিক যে, প্রাচীন মিত্র দামেস্কের পাশে থাকবে। তারা সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে। সামরিক সহায়তার মানে এই না যে, তেহরান সিরিয়ায় অস্ত্র বা সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে। ইরান সিরিয়ার জনগণকে সমর্থন করে। তবে ইরান সামরিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা দিয়েছে বলে স্বীকার করে আসাদ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button