এক সীমান্ত থেকে আরেক সীমান্তে ছুটছে শরণার্থীরা
ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত হাজার হাজার শরণার্থীরা একদেশের সীমান্ত থেকে অন্যদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন, কারণ এসব দেশের সরকার আর কোনো শরণার্থী গ্রহণ করতে রাজি নয়।
ক্রোয়েশিয়া এখন হাজার হাজার শরণার্থীকে স্লোভেনিয়া আর হাঙ্গেরির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে হাঙ্গেরি তাদের ঠেলে দিচ্ছে অস্ট্রিয়ার দিকে।
ক্রোয়েশিয়া তাদের দেশে প্রবেশ করা শরণার্থীদের বাস ও ট্রেনে করে হাঙ্গেরির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া শুরু করেছে।
কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এসব শরণার্থীদের পাঠাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। এ নিয়ে হাঙ্গেরি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে হাঙ্গেরির পুলিশ এবং সৈন্যরা শরণার্থীদের নামিয়ে অন্য বাসে উঠিয়ে দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
ক্রোয়েশিয়া জানায়, বুধবার থেকে প্রায় ১৭ হাজারেরও বেশি শরণার্থী প্রবেশের কারণে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তারা এমনটা করতে বাধ্য হচ্ছে।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রী পিটার সিজারতো বলেছেন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ক্রোয়েশিয়া। তিনি বলেন, “ক্রোয়েশিয়া অভিবাসন প্রত্যাশী এসব মানুষের উপকার করার বদলে তাদের দলে দলে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এদের কোনো রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না, এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। তাদেরতো আন্তর্জাতিক আইনের সাথে মিল রেখে সীমান্ত প্রক্রিয়া চালানো উচিত। বাসে করে শরণার্থীদের তারা আরেক জায়গায় পাঠাচ্ছে এটাতো নীতিমালার বিরোধী।”
একই সময় ক্রোয়েশিয়ান এক পুলিশ বলে যে হাঙ্গেরির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে একটি চুক্তি রয়েছে-যেটি সত্য নয় বলে জানাচ্ছে হাঙ্গেরি।
ক্রোয়েশিয়া সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ৪১ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার নির্মাণ করছে হাঙ্গেরি।
ভূমধ্য সাগর পার হয়ে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশী হাজার হাজার শরণার্থীর জীবনে কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে।
শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে কোনো অভিন্ন অবস্থান নিতে না পারায় ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশ এখন তাদের মত করেই ব্যবস্থা নিচ্ছে, আর তার ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে তিক্ততাও বাড়ছে। -বিবিসি