ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল সার কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু
নানা জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে দেশের বৃহত্তম সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জস্থ শাহজালাল সার কারখানায়। রোববার দিবাগত রাত ৮টার দিকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয় সার কারখানাটিতে।
শাহজালাল সার কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সার কারখানার প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত ৭০ শতাংশ উৎপাদন শুরু হয়েছে। আগামী নভেম্বর থেকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে।
এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় সার কারখানাটির উৎপাদন। গত শনিবার দিবাগত রাতে পরীক্ষামূূলক উৎপাদন শুরু হওয়ার সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। গত আগস্ট মাসে কারখানার মিথেন এটর কুলারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আরেক দফা পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারেনি শাহজালাল সার কারখানা।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে দেশের বৃহত্তম এই সার কারখানাটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পরীক্ষামূূলক উৎপাদন শুরু না হওয়ায় উদ্বোধন পিছিয়ে যায়। আগামী নভেম্বর নাগাদ সার কারখানাটি উদ্বোধন হতে পারে।
২০১২ সালের ২৪ জুন দেশের বৃহত্তম এই সার কারখানায় ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের শুরুতে সার কারখানা নির্মাণের জন্য ১৫০ এক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। চীন ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে সার কারখানাটি নির্মাণে এর আগে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৪০৯ কোটি টাকা।
তন্মধ্যে চীন সরকার ও চীনের এক্সিম ব্যাংক দিয়েছে ৩৯৮৬ কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া।
সার কারখানাটি নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে আমেরিকা, জাপান ও নেদারল্যান্ড। পুরোদমে সার কারখানাটি উৎপাদনে গেলে প্রতিদিন ১৭৬০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ হিসাব অনুযায়ী বছরে ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮ শ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন সম্ভব।
অনদিকে প্রতিদিন ১ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদনেও সক্ষম শাহজালাল সার কারখানা। এ হিসাবে বছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারবে এটি।