‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত মিনা

Minaলাখো মুসুল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ (হাজির হে আল্লাহ আমি হাজির) ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে মিনা প্রান্তর। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মিনায় অবস্থান করছেন। হজের অংশ হিসেবে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত তারা মিনায় অবস্থান করবেন। সেখানে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় জিকির-আজকার ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটাবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন জামাতের সঙ্গে।
বুধবার সকালে সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন তারা। সেখানে হজের খুতবা শুনবেন এবং এক আজানে জোহর ও আসরের (জুহরাইন) নামাজ আদায় করবেন।
সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে আবারো এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন।
মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করে ফজরের নামাজের পর ফের মিনায় ফিরবেন মুসল্লিরা। মিনায় ফিরে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করার পর মাথা মোড়াবেন। এদিন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর (যোহরের নামাজের পর) বড় জামারাতে (প্রতীকী শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন।
এভাবে পরপর তিনদিন তিন জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে মক্কায় ফেরা। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এ বছর ২০ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন (বর্ধিত কোটাসহ)।
মক্কা সম্প্রসারণ কাজের জন্য এবছর হজ যাত্রীর সংখ্যা সীমিত করেছে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়। আনুপাতিক হারে বহির্বিশ্বে মোট হজ যাত্রীর ২০ শতাংশ এবং সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ৫০ শতাংশ কম হজ যাত্রীর অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মক্কার এ সম্প্রসারণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আরও তিন বছর।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button