নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা
নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতেই তার এই সফর। ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নিউইয়কের্র স্থানীয় সময় রাত ১০ টায় জেএফকে (জন এফ কেনেডি) বিমান বন্দরের ৭ নম্বও টার্মিনালে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। বৃটিশ এয়ারওয়েজের বিএ ১৮১ ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছান তিনি।
শেখ হাসিনা যখন বিমান বন্দরে অবতরণ করেন, তখনই বাইরে চলছিলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাসহ শান্তি সমাবেশ করে। তবে, কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এসময় বিপুল সংখ্যাক এনওয়াইপডি’সহ বিমাবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানান ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে মোমেন। এরপর বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোটর শোভাযাত্রাযোগে ম্যানহাটানের পার্ক এভিনিউতে অবস্থিত অভিজাত হোটেল ওয়াল্ডর্রফ এস্টোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে। এর আগেই হোটেলে এসে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়। এসময়ে উপস্থিত স্থানীয় ও ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীরা তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর সফর ইস্যুতে জানতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখান করে হোটেলে ভেতরে চলে যান।
টানা ১১ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নিউইয়র্কে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। হোটেলে তাঁকে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিষ্টার শামীম আহমেদ, মিসেস মোমেনসহ বাংলাদেশ মিশন ও বাংলাদেশ দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে, ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এখানে ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন। সন্ধ্যা ছয়টায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের লাগোয়ার্ডিয়া মেরিয়ট হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সেখানে সাংবাদিক, কূটনীতিকদের অংশগ্রহণ থাকবে। সবার সাথে ঈদেও শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি থাকবে ঈদের বিশেষ প্রীতিভোজ। এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন।