জতিসংঘ অধিবেশনের অবকাশে রুহানি-ক্যামেরন বৈঠক

Cameronইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। নিউ ইয়র্কে জতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম বার্ষিক অধিবেশনের অবকাশে দু নেতার এ বৈঠক হয়।
পরমাণু সমঝোতার পর ইরান ও ব্রিটেনের দূতাবাস চালুর মধ্যদিয়ে সম্পর্কের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে এ বৈঠকের মধ্যদিয়ে সে সম্পর্ক আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করেছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। তিনি বলেছেন, দু দেশের দূতাবাস নতুনভাবে চালু করাটাই হতে পারে সম্পর্কের সুন্দর সূচনা। এর মধ্যদিয়ে দু দেশের সম্পর্কে গতি আসবে এবং সম্পর্কের উন্নত হবে।
গত ২৩ আগস্ট ইরানে ব্রিটেনের দূতাবাস নতুন করে চালু করা হয়; একই দিন চালু করা হয় লন্ডনে ইরানি দূতাবাস।
সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ও অনিরাপত্তা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। যে পদ্ধতিতে চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে তারও সমালোচনা করেন তিনি। ড. রুহানি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার মূল উৎপাটন না করে যদি লড়াই চালানো হয় এবং সে লড়াই যদি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সফল হয় তারপরও তা আবার বিশ্বের অন্য কোথাও দেখা দেবে। বৈঠকে দু নেতা ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার উপায় নিয়েও কথা বলেন।
বৈঠকে ডেভিড ক্যামেরন পরমাণু সমঝোতার ক্ষেত্রে তার দেশের প্রচেষ্টা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের তেহরান সফর ও দূতাবাস চালু করা এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসবই ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সদিচ্ছার প্রমাণ।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও নিউ ইয়র্কে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দু নেতা মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসবাদ এবং দু দেশের সর্ম্পকোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের বিষয়েও কথা বলেন তারা। রুহানি বলেন, পরমাণু সমঝোতার মাধ্যমে ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক আরো উন্নত করার পথ খুলে গেছে। জবাবে পুতিন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহারে ইরানের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানায় মস্কো। পাশাপাশি মস্কো চায়- তেহরানের ওপর পশ্চিমাদের আরোপিত “নিষ্ঠুর নিষেধাজ্ঞা” পরিপূর্ণভাবে উঠে যাক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button