ইসলামের সাথে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দূরতম সম্পর্ক নেই : মাওলানা শাহ মোঃ নজরুল ইসলাম
ইমাম প্রশিক্ষন একাডেমি সিলেটের সহকারী পরিচালক মাওলানা শাহ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেছেন সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচে উর্ধ্বে। এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোন নজির নেই। হিন্দু মুসলমান এদেশে মিলেমিশে বাস করে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম ও ধর্মীয় উৎসব উৎসাহ উদ্দীপনায় ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে পালন করে। তাই উন্নত সমাজ গঠন ও সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইমামরা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারেন। কারণ ইসলাম শান্তি, সমতা ও মহানুভবতার ধর্ম।
ইসলামী গবেষণা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘‘সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও সমাজ গঠনে ইমামদের ভূমিকা’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গত শনিবার একটি অভিজাত হোটেলে দিরাই উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল হক, আনোয়ার হোসেন, মাওলানা এহসান উদ্দিন, রুহুল আমিন নগরী, মাওলানা আফতাব নুমানী প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা সমন্বয়ক মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাদী আল হাসান। আলোচনা শেষে দেশ ও জাতীয় সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। বক্তারা আরো বলেন, ইসলামের সাথে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দূরতম কোন সম্পর্কও নেই। সন্ত্রাসের মূলোৎপাটন এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের সাথে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলামের প্রতি যাদের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে তারা কখনো কোন প্রকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ বা জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেনা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আজকে বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে ইমামদের সমাজের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব হলো সকল সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে গণ সচেতনতা গড়ে তোলা এবং সামাজিক শান্তি, শৃংখংলা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় তথা সমাজ গঠনে ও শান্তিময় দেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, ইসলাম শান্তি ও উদারতার ধর্ম। কিন্তু একশ্রেণীর লেবাসধারী লোক ইসলামকে উগ্রাবাদ ও জঙ্গীবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, এসব লেবাসধারীদের বিরুদ্ধে ইমামদের ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে সমাজের কোথাও যেন ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদ জাগতে না পরে, ধর্মের অপব্যবহার যেন না হয় সে ব্যপারে ইমামেদরকে দায়িত্বশীলতার সথে কাজ করতে হবে।