প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় শেখ হাসিনা, নিজামী ও ড. ইউনূস

Nizamiবিশ্বের পাঁচশ’ প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানের ‘দ্য রয়্যাল ইসলামিক স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’ নামে একটি সংস্থার গত শনিবার প্রকাশিত এই তালিকায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মোহাম্মাদ আফজালের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জর্ডানের এই সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনীতি, বাণিজ্য, সমাজসেবা, কলা-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুগান্তকারী অবদানের জন্য মুসলমান সম্প্রদায়ের বাছাই করা ব্যক্তিদের নিয়ে এই তালিকা প্রস্তুত করে।
শনিবার প্রকাশিত চলতি বছরের ৫০০ মুসলমান প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রাজনৈতিক নেতাদের ক্যাটাগরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মতিউর রহমান নিজামীর নাম রয়েছে। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নামও রয়েছে।
ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে তালিকায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসিসরে কুরআন জামায়াতের নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মোহাম্মাদ আফজাল স্থান পেয়েছেন। এ ক্যাটাগরিতে ভারতের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ জাকির নায়েক, ব্রিটেনের মাওলানা নোমান আলি খানের নাম রয়েছে।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে নোবেল জয়ী একমাত্র বাংলাদেশী ড. ইউনুস ও ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হোসেন আবেদ এবং মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেনের নাম রয়েছে। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই ও জাহাঙ্গীর আসমা, শ্রীলঙ্কার ইসমাঈল জেজিমা, নেপালের সিদ্দিকী মোহাম্মাদীর নাম রয়েছে।
আম্মানের ‘দ্য রয়্যাল ইসলামিক স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’ এর প্রকাশিত তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দরিদ্র মুসলিম রাষ্ট্রের দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে।
রাজনৈতিক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের মধ্যে প্রথমেই মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং বৃহত্তম ইসলামী দল জায়াতে ইসলামীর আমীর। তিনি ইসলামিক শিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। তাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button