ডিসেম্বরে পৌরসভা, মার্চে ইউপি নির্বাচন

ECমেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভা নির্বাচন ডিসেম্বরে এবং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তবে একযোগে পৌরসভা নির্বাচন এবং ইউপি নির্বাচন ধাপে ধাপে করার পরিকল্পনা করছে ইসি।  এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি তালিকাও ইসিতে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে পৌভসভা নির্বাচন এবং মার্চ-এপ্রিলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে পৌরসভা ও অক্টোরের শুরুতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-সংক্রান্ত তথ্য কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।  ইসির চাহিদার পরিপেক্ষিতে এ তথ্য পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে শপথ ও পরিষদের প্রথম সভার তারিখ উল্লেখ করা আছে।  ওই তালিকা থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়নের তালিকা করা হচ্ছে।  যেসব ইউপির সীমানা ও আইনগত জটিলতা রয়েছে তা আলাদা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ অনুযায়ী, নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।  নির্বাচনের পরবর্তী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর নির্বাচিত ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১১ সালে মার্চ-থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের পরবর্তী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পৌরসভার মেয়াদ।  এ মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।
ইসি সূত্র জানায়, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ ধাপে ২৫৭টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  সে হিসাবে, আগামী নভেম্বরের শেষ থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৩২৩টি পৌরসভার মেয়াদ -সংক্রান্ত তথ্য ইসিতে পাঠানো হয়েছে।  এর মধ্যে আড়াই শতাধিক পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করার উপযোগী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button