ধর্ষণের অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না ভারত
ভারত যেন ধর্ষণের অভিশাপ থেকে বেরিয়েই আসতে পারছে না। নির্ভয়াকান্ডের পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়ে গেলেও পরিস্থিতির যেন কোনো পরিবর্তন নেই। আবার ছুরির মুখে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাতে বেঙ্গালুরুতে ওই ২০ বছর বয়সী তরুণী ধর্ষণের শিকার হন বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
শহরের পুলিশ কমিশনার এনএস মাঘেরিখ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ধর্ষিতা ওই তরুণী একটি কল সেন্টারে কাজ করেন। তাকে ঘটনার দিন রাতে বেঙ্গালুরুর দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় ধর্ষণ করা হয়।
খবরে জানানো হয়, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ওই তরুণী ঘটনার দিন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজ সেরে বেরিয়ে একটি মিনিবাসে ওঠেন। তিনি তার বোনের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতেই থাকেন। কিছু সময় পর মিনিবাসে থাকা দুই দুর্বৃত্ত ও এর চালক তাকে এক জনমানবহীন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ছুরির মুখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে মাদিওয়ালা এলাকায় এক মন্দিরের কাছে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ধর্ষিতা তরুণী পরে তার বোনকে টেলিফোন করলে তিনি এসে তাকে উদ্ধার করে সেন্ট জোনস হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কমিশনার এনএস মাঘেরিখ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তে নেমেছে। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হন।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রাতে (০৮ মার্চ) অনেকটা নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের মতো করেই পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার রাজগুরু নগর এলাকায় চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাতে বাসায় ফেরার পথে নির্যাতিতাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে রাজগুরু নগরের কাছেই একটা জায়গায় তাকে ফেলে যায় দুষ্কৃতিকারীরা।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ২৩ বছর বয়সী প্যারামেডিকেল ছাত্রী জ্যোতি সিংকে। এ ঘটনা ‘নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ড’ নামে তখন বিশ্বমিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়।