ব্রিটিশ বেকিংয়ের শিরোপা জিতলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া
দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ ২০১৫-এর প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ বেকিংয়ের শিরোপা জিতলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেইন। বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের রান্নাবিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা বিবিসির ‘দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’-এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের শীর্ষ আসনটি তিনি পাবেন কিনা তা নিয়ে একটু সংশয় ছিল। তবে শুরু থেকেই নাদিয়া হোসেইন ছিলেন প্রবল আত্মবিশ্বাসী। আর সেই আত্মবিশ্বাসের জোরে তিনি গড়লেন ইতিহাস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকেও তিনি নিয়ে গেলেন পাদপ্রদীপের আলোর নিচে।
প্রতিযোগিতাটি রাতে যখন বিবিসি ওয়ান চ্যানেলে দেখানো হচ্ছিল, তখন প্রায় দেড় কোটি দর্শক ছিলেন উদগ্রীব হয়ে। প্রতীক্ষা ৩ প্রতিযোগীর মধ্যে শিরোপা ওঠে কার মাথায় তাই দেখার। শেষ পর্যন্ত জিতলেন নাদিয়া হোসেইন। রানারআপ হন ইয়ান কামিং ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত তমাল রায়।
ব্রিটিশ কমেডিয়ান জো ব্র্যান্ডের হাত থেকে সেরার পুরস্কার নেন নাদিয়া হোসেইন। কেক-পেস্ট্রি তৈরির এই প্রতিযোগিতার শেষপর্যায়ে ‘ক্ল্যাসিক ব্রিটিশ কেক’ বানাতে গিয়ে নাদিয়া বেছে নিয়েছিলেন বিয়ের কেক।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিয়েতে কেকের প্রচলন খুব কম। আমার স্বামী আবদাল হোসেইন ও ৩ সন্তানের পছন্দ অনুযায়ী কেক বানিয়েছি।
রানারআপ হওয়া তমাল ও ইয়ানও বলেছেন, নাদিয়ার পাওনা ছিল এই পুরস্কার। ব্রিটিশ বেক অফ প্রতিযোগিতার এটি ছিল ষষ্ঠ সিজন।
চূড়ান্ত পর্বের বিচারক ছিলেন ব্রিটিশ বেকের দুই জনপ্রিয় মুখ পল হলিউড ও ম্যারি ব্যারি। দুজনই বলেছেন, নাদিয়া শুরু থেকেই আশার আলো দেখিয়েছেন। প্রতিটি পর্বে তার একাগ্রতার ছাপ ছিল। এক কথায় অনন্য নাদিয়া।
শখের বশে কেক-পেস্ট্রি তৈরি করেন- এমন প্রতিযোগীদের নিয়েই এ আয়োজন। ধাপে ধাপে বাছাই শেষে ১২ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ১০ সপ্তাহের এই প্রতিযোগিতা।
এরপর ৩ প্রতিযোগী উত্তীর্ণ হন চূড়ান্ত পর্বে। সেই ৩ জনকে নিয়েই বুধবারের এই আসরে সেরা হলেন প্রথম কোনো বাংলাদেশি।
প্রসঙ্গত, লন্ডনের অদূরে লুটন শহরে জন্ম নেয়া নাদিয়া হোসেইনের পৈতৃক বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের মোহাম্মদপুর গ্রামে।