জাতিসংঘের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা

Johnজাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একজন সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে এক চীনা ধনকুবেরের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জন অ্যাশ অ্যান্টিগা ও বার্বুডার প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্ব করেন। আরও পাঁচজনের সঙ্গে তাকে গত মঙ্গলবারই গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।  এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জন অ্যাশের বিরুদ্ধে ১৩ লাখ ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এনেছেন নিউ ইয়র্কের প্রসিকিউটররা। ওই অর্থ তিনি নিয়েছিলেন চীনা আবাসন নির্মাতা কোম্পানি এনজি ল্যাপ সেং-কে জাতিসংঘ এবং এন্টিগায় সরকারি কাজ ‘পাইয়ে দেওয়ার’ মাধ্যমে। জন অ্যাশ ‘জাতিসংঘের নাম ভাঙিয়ে লাভের ব্যবসা’ খুলে বসেছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, এ অভিযোগ ওঠায় তিনি হতবাক, উদ্বিগ্ন।  জন অ্যাশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাটর্নি প্রিট ভারারা  যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাটর্নি প্রিট ভারারাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, “রোলেক্স ঘড়ি, একটি বাস্কেটবল কোর্ট আর দামি স্যুটের বিনিময়ে জন অ্যাশ নিজেকে এবং যে আন্তর্জাতিক সংস্থার তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাকে বিক্রি করে গেছেন।”
এসব ঘটনা অ্যাশ ঘটিয়েছেন ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে, যার মধ্যে দুই বছর তিনি সাধারণ পরিষদের সভাপতি ছিলেন।  জন অ্যাশের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন এনজি ল্যাপ সেংয়ের প্রধান ডেভিড এনজি, ডমিনিকান রিপাবলিকের কূটনীতিক ফ্রান্সিস লরেঞ্জো এবং চীনে বসবাসকারী দুই মার্কিন নাগরিক। প্রিট ভারারা জানান, ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্তে আরো কয়েকজনের নাম এসেছে, যাদেরকে পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হবে।  জন অ্যাশের ঘুষের ভাগ অ্যান্টিগার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীও পেয়েছেন বলে নিউ ইয়র্কের প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন। আপাতত তার বিরুদ্ধে ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ এনেছেন প্রসিকিউটররা। এ ধরনের অভিযোগে ‘কূটনৈতিক দায়মুক্তি’র সুযোগ নেই। মঙ্গলবার প্রথম দিনের শুনানি শেষে ফেডারেল কোর্টে এক মিলিয়ন ডলারে জন অ্যাশের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে তাকে নিউ ইয়র্কে ‘গৃহে অন্তরীণ’ অবস্থায় থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button