আঙ্কারায় বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে কারা ?
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় শনিবারের ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কারা জড়িত থাকতে পারে তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা এখন তুঙ্গে।
দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ খবরে অন্তত ১০০ জন নিহত এবং ২৪৬ আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪৮ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেছেন, চারটি উগ্রপন্থী সংগঠন বর্বরোচিত হামলায় জড়িত থাকতে পারে।
এ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর এমন ঘটনা সংগটিত করার ক্ষমতা থাকতে পারে বলে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আঙ্কারার এক সংবাদ সম্মেলনে দাভুতোগলু জানান, সন্দেহভাজন সংগঠনগুলো হলো- সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট (আইএস), কুর্দিস্তানের ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে), মার্কস-লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি (এমএলকেপি) এবং অপরটি নিষিদ্ধ বামপন্থী বিপ্লবী পিপলস লিবারেশন পার্টি (ডিএইচকেপি)।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলাকারীর পরিচয় এখনো অজানা তবে সনাক্তের জন্য শক্তিশালী আলামত রয়েছে।
তিনি বলেন, এই নৃশংস হামলা শুধুমাত্র একটি গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল কিংবা সমাবেশে অংশগ্রহণকারী জনগণের উপর নয় বরং তুরস্কের সকল জনগণের ওপর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তুরস্ক ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেয়ায় জঙ্গি সংগঠনটি হয়তো এ কাজ করতে পারে।
গত জুলাইয়ে আইএস মুসলিম শাসনের স্মৃতিবিজড়িত ইস্তাম্বুল দখলের প্রত্যয় ঘোষণা করে এবং অভিযোগ করে যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইস্তাম্বুলকে ক্রুসেডারদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।