ইসলামবিদ্বেষী নারী হয়ে পড়লেন ইসলামবান্ধব
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ওই নারী এসেছিলেন ‘সহিংস ইসলামের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। তার কাছে মুসলিমরা হলো ‘খুনি আর শিরোশ্ছেদকারী’। কিন্তু কী করে যেন কী হলো, তিনি তার ভুল বুঝতে পারলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হয়ে গেলেন মুসলমানদের বন্ধু, তাদের সাথে কোলাকুলি করলেন, মসজিদে গিয়ে তাদের সাথে নাস্তা করলেন, সেলফি পর্যন্ত তুলে ফেললেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মিশিগানের নূর মসজিদে। ওই নারীর সাথে আরো কয়েকজনের যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তখনো আসেনি। তা-ই বলে তিনি থেমে থাকার লোক নন। তিনি একাই দুই হাতে দুটি প্লাকার্ড নিয়ে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে ‘খুনিদের’ বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকলেন।
তার স্লোগান শুনে মসজিদ থেকে কয়েকজন বের হয়ে এলেন।
একজন তার কাছে এসে জানতে চাইলেন, তিনি তার সাথে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি কি না। নারী প্রতিবাদকারী বললেন, তিনি শয়তানদের সাথে কথা বলতে চান না। লোকটি তাকে বোঝাতে চাইলেন।
প্রতিবাদকারী নারী দেখলেন, স্কার্ফ পরা কয়েকজন নারীও কাছাকাছি আছে। তাদের একজন তাকে বললেন, আপনি এসে আমাদের সাথে নাস্তায় যোগ দিতে পারেন। প্রতিবাদকারী বললেন, এটা তো স্রেফ আরেক দফা প্রতারণা হতে পারে।
এমন আলাপের একপর্যায়ে স্কার্ফ পরা এক নারী বললেন, তিনি মেক্সিকো থেকে এসেছেন। সেখানে ড্রাগ লর্ডরা প্রতিদিন খুন করে, ধর্ষণ করে। তারা আবার ক্যাথলিক খ্রিস্টানও। আরেকজন বললেন, হিটলারের নেতৃত্বে যে নাৎসিরা গণহত্যা চালিয়েছিল, তারা ছিল খ্রিস্টান।
মসজিদের মুসল্লিরা তাকে বোঝালেন, নাৎসিরা যেমন ‘খ্রিস্টান’ নয়, তেমনি আইএসআইএসের সদস্যরাও মুসলিম নয়। এসব হচ্ছে সামাজিক-রাজনৈতিক সঙ্ঘাতের ফসল।
এই পর্যায়ে তারা আবারো প্রতিবাদকারী নারীকে মসজিদে এসে তাদের সাথে নাস্তা করতে বলেন।
ওই নারী এবং অন্য সবাই একমত হলেন, তারা সবাই খুন, হত্যার বিরোধী। তারা সবাই আমেরিকায় বিরাজমান স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করবে।
এই পর্যায়ে ওই নারী মসজিদে যান। সেখানকার সবাই তাকে স্বাগত জানান। তবে তিনি যখন মসজিদে ঢুকছিলেন, তখন এক পুলিশ তাতে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কায় ইতস্ততা করছিলেন। কিন্তু সবার উষ্ণতায় চমৎকার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মুসলমানদের বিরোধিতা করে এসে মুসলমানদের বন্ধু হয়ে গেলেন তিনি।