ইংল্যান্ডে ধর্মীয় বা বর্ণবিদ্বেষ আক্রমণ বেড়েছে
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বিদ্বেষ প্রসূত আক্রমণ বা ‘হেট ক্রাইমের’ ঘটনা ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এসব আক্রমণের ৮০ ভাগই বর্ণবাদী বা ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে চালানো হয় কলে জানিয়েছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর বা হোম অফিসের এক পরিসংখ্যান।
পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ সালে ৫২ হাজারেরও বেশি এ জাতীয় আক্রমণ ঘটেছে, যার সংখ্যা তার আগের বছরে ছিল ৪৪ হাজারের বেশি। এগুলোর অধিকাংশই বর্ণবাদী, ধর্মীয়, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা, বা ভিন্ন যৌন অভিরুচির প্রতি বিদ্বেষ থেকে ঘটে থাকে।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ডেভি ক্যামেরন এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, বিদ্বেষ প্রসূত হামলার এই বৃদ্ধি মেনে নেয়া যায় না।
ডেভিড ক্যামেরন বলছেন, এখন থেকে মুসলিমবিদ্বেষী আক্রমণের পরিসংখ্যান একটি আলাদা বিভাগ হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত হবে- যেভাবে এতোদিন পর্যন্ত ইহুদিবিরোদী আক্রমণের ঘটনা তালিকাভুক্ত হতো।
গত মাসেই পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, লন্ডনে মুসলিম-বিদ্বেষপজনিত অপরাধের ঘটনা ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত সময়কালে ৮১৬টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে। ২০১৩-১৪ সালের একই সময়কালে এমন আক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪৭৮টি।
ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণের ঘটনার ওপর নজরদারি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান এমএএমএ বলছে, এসব আক্রমষের লক্ষ্য হয় প্রধানত মহিলারা, বিশেষ করে যারা মুখে নিকাব পরে।
অবশ্য এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বিবিসি বলেছে, বিদ্বেষ প্রসূত আক্রমণ বা হেট ক্রাইমের ঘটনা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি পরিমাণে পুলিশকে জানানো হয়- যা প্রায় নিশ্চিতভাবেই এর সংখ্যা বৃদ্ধির একটা কারণ। তবে পুলিশের তথ্য এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিকতভাবে স্বীকৃত জরিপের উপাত্ত পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে আসলে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এ ধরনের অপরাধের সংখ্যা গত ৭ বছরে ২৮ শতাংশ কমে গেছে।