দুই পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন
বাংলাদেশের উভয় পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার বাজারে সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবার প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৩ পয়েন্ট যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ৮ জুন ডিএইসর প্রধান সূচক ৭৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৪২ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়।
অক্টোবর মাসে শুরু থেকেই পতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের প্রথমদিন রবিবার বড় দরপতনের পর সোমবার শেয়ারবাজারে সূচক ঘুরে দাঁড়ায়।
কিন্তু মঙ্গলবার মিশ্রপ্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন। কিন্তু একদির পরই বুধবার আবার বড় দরপতন হলো পুঁজিবাজারে। এ অবস্থায় শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার ছেড়ে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
অব্যাহত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সিংহভাগই ঋণে জর্জরিত। যে কারণে টানা দরপতনে শত শত বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হবার পথে।
বুধবার দিন শেষে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএঙ ৬৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১২৭ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বুধবার ডিএসইতে ৩০৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে যা আগের দিনের চেয়ে ১৪১ কোটি টাকা কম।
এদিন ডিএসইতে ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২৪১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
আজ সিএসইতে মোট ২৪৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০টির, কমেছে ১৯৯ টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।