জেরুজালেম অবরুদ্ধ করার নির্দেশ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর
পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি অংশগুলো অবরুদ্ধ করতে দেশটির পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
বুধবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের সিন্ধান্ত নিয়েছে।
এই পদক্ষেগুলোর মধ্যে পুলিশকে জেরুজালেমের কয়েকটি অংশ অবরুদ্ধ করে রাখার বা কারফিউ জারি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
যে কোনো ধরনের উত্তেজনা ও সংঘাত এড়াতে পুলিশ এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এদিকে নির্দেশনা জারির পরপরই পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি এলাকায় বুধবার চেক পয়েন্ট বসাতে শুরু করেছে ইসরাইলের পুলিশ বাহিনী।
ফিলিস্তিনিদের হামলা ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের এক মহিলা মুখপাত্র।
তিনি জানান, পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি গ্রাম ও আশপাশের এলাকাগুলোর প্রবেশপথে চেকপয়েন্টগুলো বসানো হচ্ছে।
এখান থেকেই সম্প্রতি অধিকাংশ হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের অধিকাংশই এই গ্রামগুলোর বাসিন্দা।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ইসরাইলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেরুজালেমে বাসে গুলি ও ছুরিকাঘাতে দুজন ইসরাইলি নিহত হয়।
এদিকে দখলদার ইসরাইলি সেনাদের হামলায় বুধবার তিন ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছে।
বায়তুল মোকাদ্দাসে (আল আকসা মসজিদ) ইসরাইলি সেনারা গুলি করে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
এ নিয়ে গত মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
এছাড়া, গাজার আল-বারিজ শরণার্থী শিবির ও বেইত হানুন ক্রসিং পয়েন্টে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
ইহুদিবাদী সেনারা গতরাতে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে ব্যাপক অভিযান চালায়।
এ সময় অন্তত ২১ ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা অবমাননার প্রতিবাদে গত মাসের শুরু থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নতুন করে ইন্তিফাদা বা গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা আত্মরক্ষার্থে ৭ ইসরাইলিকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছে অন্তত আরো শতাধিক ইসরাইলি।