জাতিসংঘের সম্মতি ছাড়াই সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানো হবে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে হটাতে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ সোমবার বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়া সমস্যা সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই প্রয়োজনে জাতিসংঘের সম্মতি ছাড়াই সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানো হবে।
এদিকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে গতকাল রোববার হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার। তিনি বলেছেন, হস্তক্ষেপের পর যুক্তরাষ্ট্র ভয়াবহ পরাজয়ের স্বাদ পেতে পারে।
‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর খবরে বলা হয়, উইলিয়াম হেগ জানান, সিরিয়া অভিযানের ব্যাপারে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র সহমত। আজ বিবিসি রেডিও ফোরকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যান্য পথে, কূটনৈতিক উপায়ে চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন, নীরবতা পালন না সামরিক অভিযান, তা বেছে নিতে ব্রিটেনকে বেগ পেতে হচ্ছে।
হেগ আরও বলেন, ইতিমধ্যে ফ্রান্স ও তুরস্ক সামরিক অভিযানে অংশ নিতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া জার্মানির মতো যেসব রাষ্ট্র সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারাও সামরিক অভিযানে অংশ নিতে পারে।
এদিকে সিরিয়ার যে এলাকায় গত বুধবার সকালে রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে, সেসব স্থানে আজ তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শক দল।
ব্রিটেনের সেনাপ্রধান স্যার নিক হফটন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসে ও অন্যান্য মিত্ররাষ্ট্রের সেনাপ্রধানদের সঙ্গে সিরিয়া অভিযান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এক শীর্ষ বৈঠকে বসতে চলেছেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হলে তাতে চীন ও রাশিয়া নিশ্চিতভাবেই ভেটো দেবে। তাই জাতিসংঘকে এড়িয়ে সামরিক অভিযানের কথা চিন্তা করছে ব্রিটেনে ও আমেরিকা। উইলিয়াম হেগ বলেন, জাতিসংঘের সম্মতি ছাড়া অভিযান চালানো হলে সেটিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সিদ্ধ করা সম্ভব।
হেগ আরও বলেন, ‘বৃহত্তর মানবিক প্রয়োজন বা বিপন্ন মানবিকতার অজুহাতে হামলা চালানো সম্ভব। আরো অনেক কারণও দেখানো যায়। তবে আমরা যে পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছি ও যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করছি, তা যে মাত্রারই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই হতে হবে।’