ইউরোপের শরণার্থী কোটা যথেষ্ট নয় : জাতিসংঘ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চলমান শরণার্থী স্থানান্তর প্রকল্প বা কোটা পদ্ধতি সংকট কাটানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান আন্তনিও গ্যুত্যেরেস।
সোমবার তিনি জানান, আগামী দুবছরে ইতালি ও গ্রিসের এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীর দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউ। এ চলমান স্থানান্তর প্রকল্পটি আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন এবং নির্বাসিতদের জন্য আরও বৈধ সুবিধার ব্যবস্থাও করতে হবে।
গ্রিসে তিন দিনের সফর ও শরণার্থী নিবন্ধন শিবিরগুলো পরিদর্শন শেষে এথেন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির।
মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং দরিদ্র দেশগুলো থেকে উন্নত জীবনের আশায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পলায়নরত লাখো আশ্রয়প্রার্থী গ্রিসের মাধ্যমে ইউরোপে পা রাখছেন। গত কয়েক মাসে নৌকায় গাদাগাদি করে অবৈধভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
চলতি বছর ইউরোপে পৌঁছেছেন ছয় লাখ আশ্রয়প্রার্থী এবং আসন্ন শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে শরণার্থীদের সংখ্যা। গ্রিসে প্রতিদিন নতুন করে পৌঁছানো আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা গড়ে সাড়ে চার হাজার থেকে বেড়ে সেপ্টেম্বরের শেষে এসে প্রায় সাত হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইওএম।
এদিকে, বর্তমানে ইইউর শরণার্থী স্থানান্তর প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসনযোগ্য আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে কেবল সিরীয়, ইরাকি এবং ইরিত্রীয়দের বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাদ দেয়া হয়েছে বর্তমানে জঙ্গি তৎপর আফগানিস্তানের নাগরিক আশ্রয়প্রার্থীদের।
এছাড়া স্লোভাকিয়া ও সাইপ্রাস খ্রিস্টান শরণার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে জাতিগত বা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ প্রকল্পের সমালোচনাও করেছেন ইউএনএইচসিআর প্রধান।
সংলাপের ভিত্তিতে মানবিক পদ্ধতিতে, বিশ্বাসের ভিত্তিতে শরণার্থী সংকট নিরসনের চেষ্টা করা উচিত যা এখনও হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং ইউরোপে প্রবেশের উদ্দেশ্যে গমনরতদের সংখ্যা কমাতে কঠোর হচ্ছে ব্রাসেলস।