মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অনাকাঙ্কিত যুদ্ধ শান্তি বিঘ্নিত করছে
সৌদী যুবরাজ তুর্কী আল ফায়সাল বলেছেন, আরব ভূখণ্ডের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশগুলো যদি একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে পারতো তাহলেই এ অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হতো।
সংযুক্ত আরব আমীরাতের আবুধাবিতে ‘বৈরুত ইন্সটিটিউট সম্মেলনে আলোচনায় তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভাইয়ে-ভাইয়ে আত্মঘাতী অনাকাঙ্কিত যুদ্ধ অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করছে।
ইন্সটিটিউটের বোর্ড মেম্বর যুবরাজ আরও বলেন, অদূর-ভবিষ্যৎ কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আরব দেশগুলোকে পারস্পরিক দ্বিধা-বিভক্তি ভুলে তাদের অভিন্ন ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে ধারণ ও কাজে লাগিয়ে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের অর্থমন্ত্রী সুলতান বিন সাঈদ আল মানসুরী বলেন, একটি গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক সমস্যাবলির মোকাবিলা ইস্যু মূল প্রতিপাদ্য হওয়ায় বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বর্তমান জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা, বিশ্ব অর্থনীতিতে শ্লথ গতিসহ চলমান নানা চ্যলেঞ্জের সম্মুখীন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোকে তাদের অগ্রাধিকারমূলক ইস্যুতে রদবদল করতে হচ্ছে। এ অবস্থা নেহায়েতই মারাত্মক এবং অনাকাক্সিক্ষত। তিনি পরিস্থিতি উত্তরণে আঞ্চলিক দেশসমূহকে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রণীত মডেল অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।
সম্মেলনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে বেশ ক’জন সাবেক সরকার প্রধান, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীবর্গ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্র, ইউরোপ, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা থেকে বিশেষজ্ঞগণও অংশ নেন।
এছাড়া জিসিসি মহাসচিব আব্দুল লতিফ রশিদ আল জায়ানী, জাতিসংঘ ডেপুটি মহাসচিব জান এলিসন, আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা এবং ইরাকের প্রখ্যাত রাজনীতি বিশ্লেষক বারহাম সালেহসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।