৫৪ লাখ কর্মসংস্থান হবে বাংলাদেশে : বিশ্বব্যাংক
চীনের বর্তমান বাজারের ২০ শতাংশ যদি দখল করা যায়, তাহলে আমাদের পোশাক রফতানি দ্বিগুন বেড়ে যাবে। তৈরি হবে ৫৪ লাখ নতুন চাকরির। এর ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ পরিণত হবে বাংলাদেশ।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের ‘ডায়াগনস্টিক ট্রেড ইন্টিগ্রেশন স্টাডি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য মূল চাবিকাঠি। বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর ২০ লাখ শিক্ষিত শ্রমিক প্রবেশ করছে। প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য বাড়াতে পারলে বাংলাদেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কয়েকটি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। সামনের তৈরী পোশাক শিল্পের মতো অন্যান্য খাতেও এগিয়ে যাবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সমপ্রসারণ করেছে। বিশেষ করে, ২০০৯ সাল থেকে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। বর্তমানে পোশাক খাতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাতে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রম বাজার সম্প্রসারণের খুব সুযোগ রয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ তৈরির পরামর্শ দিয়েছে এই দাতা সংস্থাটি।
অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন সম্পর্কিত সভায় ২৩টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইকোনমিক জোনের মধ্যে চীন, জাপান ও ভারতকে খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী, বিশ্ব ব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট সঞ্চয় কাথুরিয়া, এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।