যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’
যুক্তরাষ্ট্রের মরুময় ও পর্বতসঙ্কুল উতাহ অঙ্গরাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি স্বাধীন দেশ সৃষ্টি করছেন নিউইয়র্কের এক যুবক। তিনি এর নাম দিয়েছেন জাকিস্তান।
জাক ল্যান্ডসবার্গ নামের ওই যুবক তার এই দেশের জন্য একটি হলুদ এবং লাল রঙের পতাকা তৈরি করেছেন। বানিয়েছেন সরকারি পাসপোর্ট। তার দেশের সীমানা পাহারার জন্য একটি বিশালাকারের রোবটকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ল্যান্ডসবার্গ নিজেই। ‘ধারণাগত লক্ষ্য হলো আমি এটাকে একটি প্রকৃত দেশ বানাতে চাই,’ বলছিলেন ল্যান্ডসবার্গ। ‘আমি বোঝাতে চাচ্ছি এই লক্ষ্য পূরণ হবার নয়। এটা অসম্ভব। কিন্তু কল্পনায় আমি একে সম্ভব করার চেষ্টা করছি।’ এই দেশের জন্য তিনি একটি মোটো বা নীতিবাক্যও তৈরি করেছেন: কিছু না থেকে অল্পকিছু (সামথিং ফ্রম নাথিং)’।
প্রায় এক দশক আগে ৪ একর আয়তনের জমিটি কিনেছিলেন তিনি। এটি এতটাই প্রত্যন্ত এলাকায় যে তার নিকটবর্তী শহর থেকে ৬০ মাইল আর নিকটবর্তী পায়ে হাঁটার সড়ক থেকেও ১৫ মাইল দূরে। এই জায়গাটিকে কঠোর আর বিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করলেও ল্যান্ডসবার্গ বলছেন এটি বেশ চিত্তাকর্ষক। কারণ এখানে নিজের খেয়ালখুশি মতো যা কিছু করা যায়। তবে তিনি জায়গাটির সঠিক অবস্থান জানাতে চান না এই কারণে যে তাতে তার দেশটি খুঁজে বের করতে পারে লোকজন।
ল্যান্ডসবার্গ বলেন, তিনি জানেন যে তার এই দেশকে হয়তো স্বীকৃতি দেয়া হবে না। তবে জমির মালিকানা ও সার্বভৌমত্বের ধারণায় পরিবর্তন আনার জন্য তিনি এই শৈল্পিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।
ল্যান্ডসবার্গ তার ভূখ-কে স্বাধীন দাবি করলেও উতাহর রাজধানী থেকে ১৬০ মাইল দূরে বক্স এল্ডার কাউন্টিতে গিয়ে তিনি জমির খাজনা দিয়ে এসেছেন। তবে তিনি চান দেশটি বৈধতা পাক। আর এজন্যই তার বন্ধু মাইক আবু এবং অন্যরা যখন সেখানে যান তখন এই দেশে প্রবেশ এবং ত্যাগের সময় পাসপোর্টে সিল মারা হয়।