মিয়ানমারে মুসলমানদের ভোটার করার আহ্বান
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম এবং অভিবাসীদের ভোটার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল। আগামী নভেম্বরে মিয়ানমারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ডনের অনলাইন ভার্সনে এ কথা জানা যায়।
এদিকে মিয়ানমারের মানবাধিকারকর্মী জিংহে লি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার বলেছেন, যারা নির্বাচনে অযোগ্য নির্বাচিত হয়েছে তাদের স্বাধীনভাবে রিভিউ করার সুযোগ দিতে হবে। এরমধ্যে দুজন মুসলিম রয়েছেন যারা বর্তমানে দেশটির সংসদ সদস্য বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নভেম্বরের আট তারিখে যে নির্বাচন হবে তা মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য একটি মাইলফলক। কিন্তু নির্বাচনে সবাই অংশ না নিলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ হবে নির্বাচনের পরিবেশ কেমন তার উপর। এছাড়া সবাই যদি নির্বাচনে অবাধভাবে অংশ নিতে পারে তবেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা অংশ নিতে না পারলে তারা এর স্বাদ অনুভব করতে পারবে না।
তিনি জানান, রাখাইনে বসবাস করা ৭ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা যারা চীন এবং ইন্ডিয়া থেকে এসেছে তাদের অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছিল। তারা ২০১০ এবং ২০১২ সালের নির্বাচনে ভোটও দিয়েছিল। কিন্তু মার্চে তাদের কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর নতুন করে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা ভোট দিতে পারবেন না।
রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গারা বাস করে তাদেরকে বাংলাদেশী বলে মনে করে দেশটি সরকার। এবং তাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমালোচনামূলক বলে মনে করেন লি।
তাদের অধিকার চর্চা তাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেফতার, কয়েদ করে রাখা, মত প্রকাশের, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির জন্য পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান লি।তবে মিয়ানমারের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও টিন লি’র প্রতিবেদনকে বেঠিক এবং বিকৃত বলে উল্ল্যেখ করেছেন। তিনি বলেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।