বাংলাদেশ হয়ে ভারতের পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতসহ সার্ক-এর চারটি দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে আজ যান চলাচল শুরু হয়েছে। আজই ভারতের কোলকাতায় এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর সেখান থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক রওনা হয়ে গেছে – যা বাংলাদেশের নরসিংদী হয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা যাচ্ছে।
সার্ক জোটের চারটি দেশ বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে যান চলাচলের জন্য সম্প্রতি সম্পাদিক বিবিআইএন চুক্তির আওতায় এই যান চলাচল শুরু হলো।
কোলকাতা থেকে রওনা হওয়া ট্রাকটি পরিচালনা করছে আন্তজাতিক কুরিয়ার সংস্থা ডি এইচ এল। এতে যে পণ্য আছে তার অর্ধেকের গন্তব্য বাংলাদেশ এবং বাকি অর্ধেক যাবে ত্রিপুরায়।
কোলকাতায় আজ এই যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পরিবহন সচিব বিজয় ছিব্বার এবং কোলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের কর্মকর্তা মইনুল কবির।
মি. ছিব্বার বিবিসিকে জানান, এর বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারের কাছে থেকে তারা জোর সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সে জন্য তিনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, শুধু আগরতলা নয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলও এই যানচলাচলের ফলে উপকুত হবে।
বাংলাদেশ উপদূতাবাসের কর্মকর্তা মইনুল কবির বলেন, চার দেশের মধ্যে চুক্তির আওতাতেই এই যান চলাচল শুরু হলো। তিনি বলেন, এটা কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নয় – সার্কের আওতায় আঞ্চলিক যোগাযোগের এ উদ্যোগে বাংলাদেশ সামিল হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচলের চুক্তি অনুযায়ী এই চারটি দেশের মধ্যে তিন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ভারত কার্যত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পণ্য ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে।
ভারতের পণ্যবাহী যান – কলকাতা থেকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে ঢাকা বাইপাস হয়ে নরসিংদী হয়ে আগরতলা দিয়ে আবার ভারতে ঢুকবে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাবার ফলে কোলকাতা থেকে আগরতলার পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমে ৬৪০ কিলোমিটারে নেমে এলো – যার জন্য আগে পাড়ি দিতে হতো ১৫৫০ কিলোমিটার পথ।
তবে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোর বেহাল অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে বাইরের দেশ থেকে আসা ভারী পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো নিতে পারবে কিনা। -বিবিসি