রিংটোন-ওয়েলকাম টিউনে জাতীয় সংগীত ব্যবহার অবৈধ
মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহারের আর কোনো সুযোগ থাকল না।
বৃহস্পতিবার মোবাইল অপারেটর রবি’র করা আপিলের আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ১১ মে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের করা আপিলের আবেদনও খারিজ করে দিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল। পরে রবিও আপিল আবেদন করে।
এ রায়ের ফলে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহার নিষিদ্ধই থাকল।
এছাড়া জাতীয় সঙ্গীতকে মোবাইলের রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করায় রবি অজিয়াটা লিমিটেডকে ৩০ লাখ টাকা মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতালকে দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
কালিপদ মৃধা নামের এক ব্যক্তি ২০০৬ সালে হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ মোবাইলে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে রায় দেন।
একইসঙ্গে একটেল (রবি), গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের আইনজীবী উপস্থিত থাকার কথা বলেও আদালতে না যাওয়ায় প্রত্যেক কোম্পানিকে ৫০ লাখ টাকা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিতে বলা হয়েছিল।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ। ১১ মে তাদের আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি জরিমানা ৫০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হয়।
রিট আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আহমেদ সাঈদ জানান, সংবিধানের ৪ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংগীত সংরক্ষণের কথা বলা আছে। আর জাতীয় সংগীতের বিধানে (১৯৭৮) ২০টি ক্ষেত্রে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে। সেখানে মোবাইল ফোনের রিংটোন হিসেবে জাতীয় সংগীত ব্যবহারের কথা নেই।