টুপি, পাগড়ি ও বোরকা পরায় কেন এতো বাধা?

Kelafatশিখরা পাগড়ি-দাড়ি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সামরিক-বেসামরিক সকল ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আদিবাসীরা তাদের নৃতাত্বিক পোশাক পরে ক্লাস করতে পারে কিন্তু টুপি, পাগড়ি ও বোরকা পরায় কেন এতো বাধা? এমন প্রশ্ন রেখেছেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও যুক্তরাজ্যের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ।
লন্ডনস্থ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গত ৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে টুপি পাঞ্জাবী পরে শিক্ষার্থীকে প্রবেশে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন। ওই সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কোনো ড্রেস কোড না থাকা সত্ত্বেও কেন তারা এরকম করলো। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়কে জাতির সামনে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। এর মানে বাংলাদেশ থেকে ইসলামী তাহযিব তামাদ্দুন ও বাংলাদেশি জাতিসত্বার অস্তিত্বকে মুছে ফেলার চেষ্ঠা চলছে।’
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাসান নূরী চৌধুরী বলেন, ‘ইসলামী পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়া কলঙ্কজনক অসভ্যতা। অশালীন পোশাক পরতে কোনো বাধা নেই কিন্তু শালীনতাতেই তাদের যতো আপত্তি। পৃথিবীর কোনো আইনই কোনো শালীন পোশাকের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করাতে পারে না।’
অন্য বক্তারা বলেন, সরকার একদিকে মদিনার সনদে দেশ চালানোর কথা বলছে অপরদিকে ইসলামী পোশাকের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামিক টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবদুল করীম, সাবেক ছাত্রনেতা ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা শওকত আলী, ইসলামিক ইয়ুথ মজলিসের সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য শেখ মুসতাক আহমদ, লন্ডন মহানগরী সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও বায়তুর রহমান জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা এনামুল হক, সহ-সভাপতি ও আলহুদা মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মুফতি আবদুর রাজ্জাক, মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল আহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাবের আহমদ, তারবিয়াহ সম্পাদক ও আলহুদা ইভনিং মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আনিছুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button