মাদক গ্রহণ প্রশ্নে ইউরোপীয়রা সতর্ক না হলে ফলাফল ভয়ঙ্কর
অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপীয়রা সবচেয়ে বেশি মদ্যপান ও ধূমপান করেন। সময়মতো সতর্ক না হলে ফলাফল ভয়ঙ্কর। তাই এ ব্যাপারে ইউরোপীয়দের সাবধান করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা।
যা মোটেই সুখের নয়
অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপীয়রা মদ্যপান ও ধূমপান বেশি করেন। তাছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও অন্যান্য অসুখের ঝুঁকিও বেশি, যা মোটেই সুখের নয়।
বেশিরভাগ মানুষই মোটা
যে সময়ে অন্যান্য দেশে এসব সমস্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, তখন ইউরোপে তামাক, মদ অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা বাড়ছে। ইউরোপের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষই অতিরিক্ত মোটা।
আমেরিকায় অতিরিক্ত মোটা মানুষের দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে। তারপরেই ইউরোপের স্থান। ইউরোপের শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ ধূমপান করেন। আর মদ্যপান করেন বছরে মাথাপিছু ১১ লিটার।
গড় আয়ু কমার আশঙ্কা
ইউরোপীয়রা যেভাবে মদ ও ধূমপান করেন, এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের ইউরোপীয়দের গড় আয়ু কমবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে ইউরোপের ৩৯টি দেশের। এতে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রও ছিল।
ইতিবাচক দিক
আরেকটি সমীক্ষা করা হয় আমেরিকাসহ মোট ৫৩টি দেশে যার মধ্যে পুরো রাশিয়া এবং তুর্কমেনিস্তানও রয়েছে। তবে ইতিবাচক দিক হল- ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মদ্যপানের মাত্রা শতকরা ১০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পেনের মধ্যদিয়ে।
তুরস্ক উদাহরণ
সবচেয়ে বেশি অ্যালকোহল পান করা হয় বেলারুশ এবং লিথুয়েনিয়ায়। অন্যদিকে তুরস্ক ও আজারবাইজানের মতো মুসলিম দেশগুলোতে সবচেয়ে কম মদ্য পান করা হয়েছে।
জার্মানিতে মাত্রা বেশি
জার্মানিতে মাথাপিছু বছরে ১১ লিটার বিশুদ্ধ মদ পান করা হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে এখনো বেশি। তাছাড়া জার্মানিতে সিনেমা হল বা অন্যান্য জায়গায় এখনো ধূমপানের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। তবে জার্মানির কৃষিমন্ত্রী তামাক বা ধূমপানের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার পক্ষেই রয়েছেন। –ডয়েচে ভেলে