‘ক্ষমা চাইতে অ্যামনেস্টিকে বাংলাদেশের চিঠি’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ সরকার।
এই সংক্রান্ত বিবৃতিটি প্রত্যাহার করতেও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর অ্যামনেস্টির ওই বিবৃতি আসার পর শক্ত জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। চিঠি পাঠানোর কথাটি মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তিনি।
বাংলাদেশের লন্ডন মিশনের মাধ্যমে চিঠিটি এরই মধ্যে অ্যামনেস্টির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিয়ে অ্যামনেস্টির বক্তব্যকে ‘তীব্র আপত্তিকর’ বলা হয়েছে ঢাকা থেকে পাঠানো চিঠিতে।
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে অ্যামনেস্টির বিবৃতিটি আসে। বিএনপি ও জামায়াত নেতার বিচার ও আপিল প্রক্রিয়ায় ‘গুরুতর ত্রুটি’ রয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, “একাত্তরে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলোও গুরুতর অপরাধ করেছিল। তবে তাদের কারও বিরুদ্ধে তদন্ত হয়নি বা কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।”
“বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে অবিলম্বে বিবৃতি প্রত্যাহার এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বলা হয়েছে।