সরকারি নীতির ‘ক্ষতিকর প্রভাব’ ব্রিটিশ মুসলিমদের ওপর
ব্রিটিশ মুসলিমদের ওপর ব্রিটেনের সরকারি নীতির ‘ক্ষতিকর প্রভাব’ পড়ছে বলে একটি সংগঠন দাবি করেছে। বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের নিরাপত্তা আর চরমপন্থা সংশ্লিষ্ট নীতিগুলো সেদেশের মুসলিমদের ওপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ ফেলছে বলে তারা জানিয়েছে।
১৭৮২ জনের ওপর একটি গবেষণা চালিয়ে ইসলামিক হিউম্যান রাইটস কমিশন নামের এই সংগঠনটি বলছে, এদের মধ্যে ৬০শতাংশের বেশি মানুষ মনে করে, রাজনীতিবিদরা তাদের বিষয়ে কিছুই ভাবেন না।
৫৬ শতাংশ মানুষ কটু মন্তব্যের শিকার হয়েছেন আর ১৮ শতাংশ মুসলিমকে শারীরিক আঘাত করা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর বলছে, মুসলিম বিদ্বেষ বন্ধে তারা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে ঈমান নামের ১৯ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ ধর্মান্তরিত মুসলিম তরুণীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ঈমান জানিয়েছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তার কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে সন্দেহ করতে শুরু করে যে, সে উগ্রপন্থী হয়ে উঠেছে। তারা সন্ত্রাস বিরোধী কর্তৃপক্ষের কাছেও তার বিষয়ে রিপোর্ট করে। পরে কর্মকর্তারা ধর্মাচরণ আর বিশ্বাস নিয়ে তার সঙ্গে কথাও বলেন।
যখন তারা নিশ্চিত হয় যে, সে কোনো উগ্রপন্থী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, তখন তারা তাকে ব্যবহারেরও চেষ্টা করে।
ঈমান বলছেন, এখন পরিস্থিতি এমন যে, একজন মুসলিম হিসাবে অন্যদের মতো আমার স্বাভাবিক জীবনযাপন করার অধিকার নেই। আমাকে হয় উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, নাহলে নিজেই উগ্রপন্থী হিসাবে চিহ্নিত হতে হবে।
গবেষক আরজু মিরালি বলছেন, এখন এখানে এমন একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে মুসলিমরা মনে করেন, তাদের সবসময় সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে এবং তাদের জীবনযাপন দিনে দিনে কঠিন হয়ে উঠছে।