জানাজায় লাখো মানুষ
চিরনিদ্রায় শায়িত মুফতী আব্দুর রহমান
বরেণ্য আলেমে দ্বীন, বসুন্ধরা ইসলামী রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী আব্দুর রহমানের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সকাল ১০টা ১০মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার-৫’র সামনে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মুফতি আরশাদ রাহমানি। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে বসুন্ধরা নতুন কবর স্থানে (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এন ব্লক) তাকে দাফন করা হয়।
জানায়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বরেণ্য আলেম, বিভিন্ন ইসলামি দল সংগঠনের নেতা কর্মীসহ লাখো মানুষ।
জানাজায় অংশ নেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়িদ বাবুনগরী, ঢাকা মহাননগীর আহবায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতা উল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী ও মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতী মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, খেলাফতে ইসলামীর আমীর আবুল হাসনাত আমিনী, যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক প্রমুখ।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে ইন্তেকাল করেন।
মুফতি আবদুর রহমান ১৯২৫ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ইমামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম চাঁন মিয়া। তিনি নাজিরহাট ও হাটহাজারি মাদ্রাসায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক লেখাপড়া সমাপ্ত করেন। উচ্চমাধ্যামিক শিক্ষা সমাপ্তির পর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে গমন করেন। ১৯৫০ সালে সেখানে কওমি মাদরাসা পাঠ্যক্রমের সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগের তিনি প্রথম ডিগ্রি লাভকারী মুফতি। তিনি বহু মাদরাসা ও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
তিনি আমৃত্যু আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শরীয়া বোডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শরীয়া বোডের চেয়ারম্যান মনোনীত হন। দীর্ঘদিন তিনি সেন্ট্রাল শরীয়া বোর্ড ইসলামিক ব্যাংকস-এর ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।