ঐশীর ফাঁসির আদেশ
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার রায়ে তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে ২ বছর কারাদন্ড এবং আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে ঐশীকে আদালতে নেয়া হয়। জনিকে কাঠগড়ায় এবং ঐশী ও রনিকে আইনজীবীদের বেঞ্চে বসানো হয়।
গত ৪ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৯ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই দিনই ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ঐশী। পরে তিনি ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন।
গত বছর ৯ মার্চ ঐশীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র এবং ঐশীদের শিশু গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার চলছে শিশু আদালতে। গত বছর ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে জামিন দেন শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন।
গত বছর ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে সে।
এ মামলায় ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মোঃ মশিহুর রহমান রুবেলসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।