ভারতের ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ গড়তে লন্ডনমুখী মোদী
বিহারে বিপর্যয় নিয়ে দলে টানাপোড়েনের মাঝেই ফের বিদেশ সফরে মোদী। আজই তিনদিনের সফরে ব্রিটেনে রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী। বিনিয়োগ টানতে শিল্পপতিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে মোদীর। লন্ডনে আজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। অনাবাসী ভারতীয়দের তরফে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মোদীর বিশাল সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। রানির সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচিও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই সফরের সুবাদে দ্বিপাক্ষিক আর্থিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে টুইটে আশা প্রকাশ করেছেন মোদী। ভারতে বিদেশি লগ্নির পথও সুগম হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী।
মোদীর ব্রিটেনযাত্রা ঘিরে বিতর্কের ঝড়। দেশে অসহিষ্ণুতার মধ্যেই কেন বিদেশ সফর? প্রশ্ন বিরোধীদের। দেড় বছরে বত্রিশ বার বিদেশ সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে আদৌ কোনও উপকার হয়েছে দেশের। প্রশ্ন কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভির।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে দেশ মোটেও উপকৃত হয়নি। সংসদ চলাকালীন যেভাবে মোদী বিদেশে কাটিয়েছেন, তাতে ভুল বার্তা যাচ্ছে। মন্তব্য করলেন এনসিপি নেতা মাজিদ মেমন।
বিদেশের মাটিতে গিয়ে পূর্বসূরীদের ছোট করে দেখানো অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার লন্ডন সফরে গিয়ে মোদী যেন তেমনটা না করেন। মন্তব্য করলেন আরজেডি নেতা মনোজ ঝাঁ।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ব্যস্ত থাকায় দেশেই জমি হারাচ্ছে বিজেপি। মোদীর লণ্ডনসফরকে কটাক্ষ করে দাবি জেডিইউ নেতা আলি আনোয়ারের।
প্রচার বাড়তেই বারবার বিদেশসফরে মোদী। তবে দেশের উন্নয়নে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দাবি কংগ্রেস নেতা পিসি চাকোর।
মোদীর বিদেশ সফর ঘিরে একদিকে সরব বিরোধীরা। তখনই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সওয়ালে ব্যস্ত তাবড় বিজেপি নেতা। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে উত্সবের মরসুমে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন প্রধানমন্ত্রী। দাবি সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের।